ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? | ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখ- বিস্তারিত

ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখ:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখ বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখ

ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে?

কোনো মূলভাব অথবা মূল বক্তব্যকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করাকে ভাব-সম্প্রসারণ বলে।

ভাব-সম্প্রসারণ দু’ধরনের হয়ে থাকে। যথা : (১) গদ্যে লেখা সংক্ষিপ্ত বাক্যে ও (২) কবিতার ছন্দে।
আবার এগুলো দু-রকম হয়ে থাকে। (ক) প্রত্যক্ষ ও (খ) পরোক্ষ বা প্রতীক ধর্মী।

ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখ

কোনো গদ্য বা কবিতার সংক্ষিপ্ত অংশ ভাব-সম্প্রসারণের জন্য দেয়া হয়। প্রদত্ত অংশটি বার বার পড়ে তার অর্থ বুঝতে হবে। বক্তব্যের আসল কথাটি ধরে আলোচনায় অবতীর্ণ হতে হবে। মূল ভাবটিকে সম্প্রসারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থবোধক আলোচনা করা দরকার যাতে পাঠকের কাছে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় যুক্তি তর্কের আলোচনা করতে হবে। উপমা দিয়ে বক্তব্যকে সহজবোধ্য করতে হবে। ভাবের সমর্থক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি সংযোজন করা যেতে পারে। তবে অযথা কথা না বাড়িয়ে পরিমিত আকারে তা সীমাবদ্ধ রাখা আবশ্যক।

আলোচনা পূর্ণাঙ্গ হবে এবং থাকবে একটি প্রকাশভঙ্গি। ভাষা হবে সহজ-সরল এবং তাতে অলংকার থাকতে পারে। আলোচনাটি যেন মৌলিক রচনার মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ভাব-সম্প্রসারণ লেখার সময় নিচের তিনটি অংশের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে
(ক) আক্ষরিক বা আভিধানিক অর্থ।
(খ) লক্ষার্থ বা মূলভাব।
(গ) মূলভাবকে বোঝানোর জন্য কোনো সার্থক দৃষ্টান্ত।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১। ভাব-সম্প্রসারণে মূল ভাবটি কীসের সাহায্যে সম্প্রসারিত করতে হয়?
ক) আবেগ  খ) কল্পনা
গ) ভাবপ্রবণতা  ঘ) যুক্তিতর্ক

২। কোনটিতে দৃষ্টান্ত অবশ্যই থাকতে হয়?
ক) সারাংশ  খ) সারমর্ম
গ) রচনা  ঘ) ভাব-সম্প্রসারণ

৩। সম্প্রসারণের বিপরীত শব্দ কী?
ক) সংক্ষেপণ  খ) প্রসারণ
গ) দৃষ্ট  ঘ) প্রশস্তি

৪। মূলের ভাব-সম্প্রসারণে কীসের সাহায্য নিতে হয়?
ক) যুক্তি ও বিচারবুদ্ধির
খ) আবেগের
গ) ভাষা জ্ঞানের
ঘ) প্রেরণা

৫। ভাব-সম্প্রসারণ অর্থ কি?
ক) ভাবের বিস্তৃতি
খ) ভাবের সংক্ষেপণ
গ) ভাবের বিমুক্তি
ঘ) ভাবের উদ্ধৃতি

৬। ভাব-সম্প্রসারণের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
ক) সহজ ও প্রাঞ্জল
খ) গুরুগম্ভীর
গ) তৎসম শব্দবহুল
ঘ) দুর্বোধ্য ও জটিল

৭। ভাব-সম্প্রসারণ সার্থকভাবে করতে হলে–
ক) উদ্ধৃত বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে বার বার পড়তে হবে।
খ) উদ্ধৃত বিষয় না পড়েই লিখতে হবে।
গ) উদ্ধৃত বিষয় বার বার লিখতে হবে।
ঘ) উদ্ধৃত বিষয় সম্পর্কে পূর্বেই ধারণা রাখতে হবে।

৮। ভাব-সম্প্রসারণের বিপরীত কী?
ক) সারমর্ম লিখন
খ) ভূমিকা লিখন
গ) মূল বক্তব্য লিখন
ঘ) দ্রুত লিখন

৯। ভাব-সম্প্রসারণে বর্জনীয় কোন বিষয়টি?
ক) বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়
খ) প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশকীয় বিষয়
গ) অবাস্তব ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয়
ঘ) যুক্তিতর্কপূর্ণ বিষয়

১০। ভাব-সম্প্রসারণে কোনটি আশা করা যায়?
ক) বাহুল্য কথা
খ) অত্যাবশকীয় দৈর্ঘ্য
গ) অনাবশ্যকীয় স্বল্পতা
ঘ) অযৌক্তিক উপমা

উত্তরঃ–১ : ঘ); ২ : ঘ); ৩ : ক); ৪ : ক); ৫ : ক); ৬ : ক); ৭ : ক); ৮ : ক); ৯ : গ); ১০ : খ);

আশা করি ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখএই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন