সমযোজী যৌগ বিভিন্ন আকৃতির হয় কেন?: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা “সমযোজী যৌগ বিভিন্ন আকৃতির হয় কেন?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ।
তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
সমযোজী যৌগ বিভিন্ন আকৃতির হয় কেন?
দুই বা ততোধিক অধাতব পরমাণু সমানসংখ্যক ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী যৌগ গঠন করে। সমযোজী যৌগে মুক্তজোড় ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। সমযোজী যৌগে মুক্তজোড়-মুক্তজোড়, মুক্তজোড় - বন্ধন জোড় এবং বন্ধন জোড় - বন্ধন জোড় ইলেকট্রনের মধ্যে বিকর্ষণ ঘটে। এ বিকর্ষণের কারনে সমযোজী যৌগের আকৃতি বিভিন্ন হয়।
যেমনঃ মিথেনে(CH₄) চার জোড়া (C-H) বন্ধন ইলেকট্রন রয়েছে। এখানে কোন মুক্তজোড় ইলেকট্রন নেই। যার কারণে মিথেন চতুস্তলকীয় জ্যামিতিক আকৃতি গঠন করে।
কিন্তু পানি(H₂O) অণুতে দুই জোড়া (O-H) বন্ধনজোড় ইলেকট্রন এবং দুই জোড়া মুক্তজোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। যার কারণে পানি অণুতে মুক্তজোড় - মুক্তজোড়, মুক্তজোড় - বন্ধন জোড় ও বন্ধন জোড় - বন্ধন জোড় বিকর্ষণ ঘটে।
এ জন্য পানি অনুর আকৃতি ' V ' হয়। সমযোজী যৌগে মূলত মুক্ত জোড় ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন থাকার কারণে এদের আকৃতি বিভিন্ন হয়ে থাকে।
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে সমযোজী যৌগ বিভিন্ন আকৃতির হয় কেন? বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”