মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? | মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ও কাজ | অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?- বিস্তারিত

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ও কাজ:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ও কাজ বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ও কাজ

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? 

যে সমস্ত গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা (হরমোন ক্ষরণকারী অংশ) এবং বহিঃক্ষরা (উৎসেচক ক্ষরণকারী অংশ) উভয় গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে।


মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য

১) অনাল বা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি এবং অনাল বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যুক্ত হয়।

২) বহিঃক্ষরা অংশের ক্ষয় নালির মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে এবং অন্তঃক্ষরা অংশের ক্ষরণ রক্তের মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে পৌঁছায়।


মিশ্র গ্রন্থির কাজ

১) বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক এবং 

২) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়।

উদাহরণঃ অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয় ইত্যাদি।


অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?

অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি একই সঙ্গে অন্তঃক্ষরা বা নালিবিহীন গ্রন্থি এবং বহিঃক্ষরা সহযোগে গঠিত। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয় যা শরীরে বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক ক্ষরিত হয় যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এ কারণে অগ্ন্যায়কে মিশ্র গ্রন্থি বলে।


আশা করি মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ও কাজএই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন