প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?- বিস্তারিত

প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে? বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?

প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?

বিজ্ঞানের যে শাখা বর্তমান পৃথিবী হতে বিলুপ্ত জীব সম্পর্কে অনুসন্ধানে নিয়োজিত তাকে প্রত্নজীববিদ্যা বলে। বিজ্ঞানের এই শাখা থেকে নানা প্রকারের জীবাশ্মের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন অবলুপ্ত জীব সম্পর্কে নানা তথ্য জানা যায়।


জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। কোডনের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ কোডনের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

  • একাধিক কোডন একটি অ্যামিনো অ্যাসিডকে কোড করে।
  • একটি কোডন কখনো একাধিক অ্যামিনো অ্যাসিডকে কোড করে না।
  • কোডন তৈরিতে নিউক্লিয়োটাইড কখনো অভারলেপ করে না বরং ক্রমসজ্জা অনুসরণ করে।
  • কোডনসমূহ সার্বজনীন অর্থাৎ বিশ্বের সকল প্রজাতির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এবং সেই আদিকাল থেকে শত বিবর্তন ধারা অতিক্রম করে এখনো একই রকম আছে।


প্রশ্ন-২। প্রাণরস কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাণীদের দেহে কতকগুলো নালীবিহীন বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি আছে। এ সব গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রসকে হরমোন বা প্রাণরস বলে।
প্রাণরস পরিবহন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট নালী থাকে না। রক্তই এক স্থান থেকে এইসব প্রাণরস বা হরমোন অন্যস্থানে পরিবহন করে।

প্রশ্ন-৩। আবাদ মাধ্যম কি?
উত্তরঃ আবাদ মাধ্যম হলো টিস্যু কালচার প্রযুক্তির একটি অংশ। উদ্ভিদের বৃদ্ধির অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পুষ্টি, ভিটামিন, ফাইটোহরমোন, গ্লুকোজ এবং প্রায় কঠিন মাধ্যম তৈরির জন্য জমাট বাঁধার উপাদান যেমন– অ্যাগার, প্রভৃতি সঠিক মাত্রায় মিশিয়ে যে মাধ্যম তৈরি করা হয় তাই হলো আবাদ মাধ্যম।

প্রশ্ন-৪। শ্বাসক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় দেহে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশন করা হয় তাকে শ্বাসক্রিয়া বলে। স্নায়ুবিক উত্তেজনায় অক্সিজেন যুক্ত বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং নিঃশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত বায়ু বাইরে নির্গত হয়।
প্রশ্ন-৫। ভেদ্য পর্দা ও অভেদ্য পর্দা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণুু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা বলে। অপরদিকে, যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয় প্রকার পদার্থের অণুগুলো চলাচল করতে পারে না তাকে অভেদ্য পর্দা বলে।

প্রশ্ন-৬। ত্রিস্তরবিশিষ্ট বা ট্রিপ্লোব্লাস্টিক প্রাণী কি?
উত্তরঃ যে সব প্রাণীর ভ্রূণের কোষগুলো তিনটি স্তরে সাজানো থাকে, সে সব প্রাণী হচ্ছে ত্রিস্তরবিশিষ্ট বা ট্রিপ্লোব্লাস্টিক (Triploblastic) প্রাণী। Cnidaria পরবর্তী সব পর্বের প্রাণীই ট্রিপ্লোব্লাস্টিক। এদের ভ্রূণীয় কোষগুলো এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম-এ তিনটি স্তরে সাজানো থাকে।

প্রশ্ন-৭। কুনোব্যাঙ কোন শ্রেণির প্রাণী? কুনোব্যাঙ এর বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ কুনোব্যাঙ উভচর শ্রেণির প্রাণী। এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল–
১। দেহত্বক আঁইশবিহীন।
২। ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত।
৩। শীতল রক্তের প্রাণী।
৪। পানিতে ডিম পাড়ে।
৫। জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায়।
৬। এরা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় ও পরিণত বয়সে ডাঙ্গায় বাস করে।

প্রশ্ন-৮। প্রতিসাম্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ প্রতিসাম্য বলতে প্রাণিদেহের মধ্যরেখীয় তলের দুপাশে সদৃশ বা সমান আকার-আকৃতিবিশিষ্ট অংশের অবস্থানকে বোঝায়। যেসব প্রাণীর দেহকে কোন না কোন অক্ষ বা তল বরাবর সমান অংশে ভাগ করা যায় তাদের প্রতিসম প্রাণী (symmetrical animal) বলে। আর যেসব প্রাণীর দেহে এরূপ বিভাজন সম্ভব হয় না তাদের অপ্রতিসম প্রাণী (asymmetrical animal) বলে অভিহিত করা হয়।

প্রশ্ন-৯। জিনোম কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন জীবের জিনোম বলতে সেটির সমস্ত বংশগতিক তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়। নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া এবং উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ক্লোরোপ্লাস্টের সকল ডিএনএ নিয়ে একটি জীবদেহের জিনোম গঠিত হয়।

প্রশ্ন-১০। জিনোম সিকোয়েন্সিং কাকে বলে?
উত্তরঃ জিনোমের বিভিন্ন বিন্যাস জীবের ভিন্নতা নির্ধারণ করে দেয়। আর এই বিন্যাস বা প্যাটানকে পাঠোদ্ধার করার প্রক্রিয়াকে জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) বলে। জিনোম শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক হ্যান্স ভিঙ্কলের প্রায় ১০০ বছর আগে( ১৯২০)।
জার্মান জিন (Gene) আর গ্রিক ওম (ome) শব্দের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল জিনোম শব্দটি।

আশা করি প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন