দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান- বিস্তারিত

দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১. কোন ধরনের কোষ বিভাজনে জননকোষ উৎপন্ন হয়?

উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজনে জননকোষ উৎপন্ন হয়।


প্রশ্ন-২. জিন কাকে বলে?

উত্তর : জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী একককে জিন বলে। বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী DNA-এর অংশকে জিন নামে অভিহিত করা হয়। ক্রোমোজমে  কতগুলো জিন থাকে এবং জিনগুলোই প্রজাতির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য দায়ী। মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার রং ইত্যাদি জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।


প্রশ্ন-৩. বংশগতির জনক কে?

উত্তর : বংশগতির জনক গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।


প্রশ্ন-৪. মানুষের প্রতিটি দেহকোষে কয়টি ক্রোমোজোম রয়েছে?

উত্তর : মানুষের প্রতিটি দেহকোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম রয়েছে।


প্রশ্ন-৫. ব্যাকটেরিয়ার কোষে কী ধরনের কোষ বিভাজন হয়?

উত্তর : ব্যাকটেরিয়ার কোষে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন হয়।


প্রশ্ন-৬. বংশানুক্রমে প্রতিটি প্রজাতির স্বকীয়তা রক্ষা হয় কীসের মাধ্যমে?

উত্তর : বংশানুক্রমে প্রতিটি প্রজাতির স্বকীয়তা রক্ষা হয় ক্রোমোজমের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।


প্রশ্ন-৭. ইন্টারফেজ কাকে বলে?

উত্তর : ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস শুরু হওয়ার আগে কোষের নিউক্লিয়াসকে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়। কোষের এ অবস্থাকে ইন্টারফেজ বলে।


প্রশ্ন-৮. মাইটোসিসের কোন ধাপে অ্যাস্টার রশ্মির আবির্ভাব ঘটে?

উত্তর : মাইটোসিসের প্রো-মেটাফেজ ধাপে অ্যাস্টার রশ্মির আবির্ভাব ঘটে।


প্রশ্ন-৯. ক্রোমোজোম কাকে বলে?

উত্তর : নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নির্দিষ্ট সংখ্যক সুতার মতো যে অংশগুলো জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করে তাদের ক্রোমোজোম বলে।


প্রশ্ন-১০. সাইটোকাইনেসিস কী?

উত্তর : কোষের সাইটোপ্লাজমের বিভাজনই হলো সাইটোকাইনেসিস।


প্রশ্ন-১১. কোন কোষ বিভাজনের ফলে জীব দৈর্ঘ্য-প্রস্থে বৃদ্ধি পায়?

উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ফলে জীব দৈর্ঘ্য-প্রস্থে বৃদ্ধি পায়।


প্রশ্ন-১২. বংশগতি কী?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তান সন্ততিতে সঞ্চারিত হয় তাই বংশগতি।


প্রশ্ন-১৩. স্পিন্ডল তন্তু কী?

উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রো-মেটাফেজ ধাপে সৃষ্ট মাকু আকৃতির তন্তুই হলো স্পিন্ডল তন্তু।


প্রশ্ন-১৪. RNA এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : RNA এর পূর্ণরূপ হলো Ribonucleic Acid.


প্রশ্ন-১৫. ক্যারিওকাইনেসিস কাকে বলে?

উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজনে নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে ক্যারিওকাইনেসিস বলে।


প্রশ্ন-১৬. জীবদেহে কয় ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়?

উত্তর : জীবদেহে তিন ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়।


প্রশ্ন-১৭. জীবদেহ কী দিয়ে গঠিত?

উত্তর : জীবদেহ কোষ দিয়ে গঠিত।


প্রশ্ন-১৮. কোষ বিভাজন কত প্রকার?

উত্তর : কোষ বিভাজন তিন প্রকার।


প্রশ্ন-১৯. মাইটোসিস কোষ বিভাজন কয়টি ধাপে সম্পন্ন হয়?

উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজন পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন হয়।


প্রশ্ন-২০. জীনতত্ত্বের জনক কে?

উত্তর : জীনতত্ত্বের জনক গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।


বংশগত বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর : সন্তানরা পিতা-মাতার যেসব বৈশিষ্ট্য পায়, সেগুলো বংশগত বৈশিষ্ট্য।


DNA কী?

উত্তর : DNA হলো জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক।


DNA-এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : DNA-এর পূর্ণরূপ হলো ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড।


অ্যামাইটোসিস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : যে কোষ বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে। এ ধরনের কোষ বিভাজনে নিউক্লিয়াসটি ডাম্বেলের আকার ধারণ করে এবং প্রায় মাঝ বরাবর সংকুচিত হয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে সাইটোপ্লাজমও মাঝ বরাবর সংকুচিত হয়ে দুটি কোষে পরিণত হয়। এ ধরনের কোষ বিভাজন ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, ছত্রাক, অ্যামিবা ইত্যাদি এককোষী জীবে সংঘটিত হয়।


অ্যামিবার কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয় কেন?

উত্তর : অ্যামিবার মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। এ জন্য অ্যামিবার কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয়।


মাইটোসিসকে সমীকরণিক বিভাজন বা ইকুয়েশনাল ডিভিশন বলা হয় কেন?

উত্তর : মাইটোসিস বিভাজনে প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। ফলে সৃষ্ট নতুন কোষ দুটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সমান থাকে। এ কারণে মাইটোসিসকে সমীকরণিক বিভাজন বা ইকুয়েশনাল ডিভিশন বলা হয়।

বহুকোষী জীবের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর : বহুকোষী জীবের ভাজক টিস্যুর কোষগুলো মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে একই আকৃতি ও গুণসম্পন্ন অপত্য কোষ সৃষ্টি করে থাকে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের কারণেই বহুকোষী জীব দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়।


নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমগুলো কখন সবচেয়ে খাটো ও মোটা হয়—ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমগুলো কোষ বিভাজনের মেটাফেজ ধাপে সবচেয়ে খাটো ও মোটা হয়। এই ধাপে ক্রোমোজোমগুলো স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থান করে। তন্তু দিয়ে সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে আটকে থাকে। তখন ক্রোমোজোম সবচেয়ে খাটো ও মোটা হয়ে থাকে।


সব ট্র্যাকশন তন্তুই স্পিন্ডল তন্তু; কিন্তু সব স্পিন্ডল তন্তুই ট্র্যাকশন তন্তু নয়—ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার স্পিন্ডল যন্ত্রের একটি তন্তুর সঙ্গে সংযুক্ত হয়। স্পিন্ডল যন্ত্রের প্রতিটি তন্তুকে স্পিন্ডল তন্তু বলে। আর যে তন্তুর সঙ্গে সেন্ট্রোমিয়ার সংযুক্ত হয় তাকে ট্র্যাকশন তন্তু বলে। অর্থাৎ কোনো স্পিন্ডল তন্তুর সঙ্গে সেন্ট্রোমিয়ার সংযুক্ত তন্তুই স্পিন্ডল তন্তু; কিন্তু সব স্পিন্ডল তন্তুই ট্র্যাকশন তন্তু নয়।


মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন?

উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দুইবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোমের বিভাজন ঘটে মাত্র একবার। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। এ বিভাজনে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পায় বলে মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়।


মিয়োসিস প্রয়োজন কেন?

উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জনন কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়। ফলে দুটি জনন কোষ একত্র হয়ে যে জাইগোট গঠন করে তার ক্রোমোজোম সংখ্যা প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যার অনুরূপ থাকে। এতে নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যার ধ্রুবতা বজায় থাকে। মূলত এই বিভাজনের কারণেই প্রতিটি প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় টিকে থাকে বলে মিয়োসিস অতি প্রয়োজনীয়।


মেন্ডেলকে জিনতত্ত্বের জনক বলা হয় কেন?

উত্তর : মেন্ডেল ১৮২২ সালে অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম যিনি বংশগতির ধারা সস্পর্কে সঠিক ধারণা দেন তাঁর নাম গ্রেগর জোহান মেন্ডেল। বর্তমানে বংশগতি সম্পর্কে আধুনিক যে তত্ত্ব প্রচলিত আছে তা মেন্ডেলের আবিষ্কারতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্য মেন্ডেলকে জিনতত্ত্বের জনক বলা হয়।


ক্রোমোজোম বংশগতিতে ভূমিকা রাখে—ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নির্দিষ্টসংখ্যক সুতার মতো ক্রোমোজোম নামের অংশগুলো জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। বংশগতির পরিবহনে ক্রোমোজোমের DNA জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ধারক এবং জীবদেহের বৈশিষ্ট্যগুলো পুরুষানুক্রমে বহন করে। এ জন্য ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয়।


ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?

উত্তর : নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নির্দিষ্টসংখ্যক সুতার মতো অংশগুলোকে ক্রোমোজোম বলে। বংশগতির প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্রোমোজোম। ক্রোমোজোম বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য কোষ বিভাজনের সময় জিনকে সরাসরি মাতা-পিতা থেকে বহন করে পরবর্তী বংশধরে নিয়ে যায়। এ জন্য ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয়।


ক্রোমাটিড বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রোফেজ ধাপে প্রত্যেকটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বিভাবে বিভক্ত হওয়ার পর যে দুটি সমান আকৃতির সুতার মতো অংশ গঠন করে তাদের প্রত্যেকটি ক্রোমাটিড। মাইটোসিসের শেষ দিকে সেন্ট্রোমিয়ারের পূর্ণ বিভক্তির ফলে প্রতিটি ক্রোমাটিড অপত্য ক্রোমোসোমে পরিণত হয়।



আশা করি দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞানএই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন