প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)- বিস্তারিত

প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি):  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)

প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)

প্রশ্ন-১। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বৈশিষ্ট্য কোনটি?
উত্তরঃ কাল্পনিক জগতে বিচরণ।

প্রশ্ন-২। বিশ্বগ্রাম ধারণাটির প্রবক্তা কে?
উত্তরঃ মার্শাল ম্যাকলুহান।

প্রশ্ন-৩। বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি?
উত্তরঃ কানেক্টিভিটি।

প্রশ্ন-৪। বিশ্বগ্রাম ধারণার সাথে কোন বিষয়টি বিশেষভাবে সম্পৃক্ত?
উত্তরঃ ইন্টারনেট সুবিধার ব্যাপক প্রসার।

প্রশ্ন-৫। আউটসোর্সিং কি?
উত্তরঃ ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ।

প্রশ্ন-৬। ডাটা বা উপাত্ত কী?
উত্তরঃ সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটপুট পাওয়ার জন্য 
প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামালগুলোকে ডাটা বা উপাত্ত বলে। অন্যভাবে বলা যায়, তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় উপাত্ত।

প্রশ্ন-৭। তথ্য কী?
উত্তরঃ তথ্য হলো কোনো প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডাটা, যা অর্থবহ ও ব্যবহারযোগ্য। অন্যভাবে বলা যায়, ডাটা প্রক্রিয়াকরণ পরবর্তী অর্থপূর্ণ রূপ হলো ইনফরমেশন বা তথ্য। তথ্য দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৮। তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) কাকে বলে?
উত্তরঃ কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ-ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, একত্রকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিনিময় বা পরিবেশনের ব্যবস্থাকে তথ্য-প্রযুক্তি বলে বা সংক্ষেপে এই প্রযুক্তিকে IT বলা হয়।   

প্রশ্ন-৯। যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology) কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডাটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। 
অন্যভাবে বলা যায়, ডাটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেমন—টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১০। ICT কী?
উত্তরঃ ICT এর পূর্ণরূপ হলো Information & Communication Technology। যে technology প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয় এবং তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডাটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।

প্রশ্ন-১১। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কী?
উত্তরঃ বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ, যেখানে পৃথিবীর সব মানুষ একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যেমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে।

প্রশ্ন-১২। ইন্টারনেট কী?
উত্তরঃ ইন্টারনেট হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অর্থাৎ একটি   কম্পিউটারের সঙ্গে আরেকটি কম্পিউটারের যোগাযোগকে নেটওয়ার্ক বলে। 
আর একটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক বা একাধিক নেটওয়ার্কের সংযোগ হয়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত যোগাযোগকে ইন্টারনেট বলে। ইন্টারনেটের আবিষ্কারক ভিনটন জি কার্ফ (Vinton G. Cerf)।

প্রশ্ন-১৩। ই-মেইল কী?
উত্তরঃ ই-মেইল হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে বার্তা আদান-প্রদান করার পদ্ধতি হচ্ছে ই-মেইল। 
এটি একটি উন্নত ও দ্রুত বৈদ্যুতিক ডাকব্যবস্থা। এটি এমন এক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সংবাদ আদান- প্রদান করা যায়। কয়েকটি ই-মেইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো : gmail, yahoo, hotmail, outlook, zoho, yandex, proton, icloud ইত্যাদি।

ই-মেইলের আবিষ্কারক রে টমলিনসন (Ray Tomlinson)।

প্রশ্ন-১৪। ভিডিও কনফারেন্সিং কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও-এর যুগপৎ উভমুখী স্থানান্তরের মাধ্যমে যোগাযোগ বা সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার কৌশল হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। স্কাইপি, ফেসবুক মেসেঞ্জার ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করা যায়।

প্রশ্ন-১৫। টেলিকনফারেন্সিং কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করে টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি যেমন- টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহার করে সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার কৌশল হলো টেলিকনফারেন্সিং। টেলিকনফারেন্সিং তিন প্রকার যথা—
ক. পাবলিক কনফারেন্স
খ. ক্লোজড কনফারেন্স
গ. রিড অনলি কনফারেন্স

প্রশ্ন-১৬। রিজার্ভেশন সিস্টেম (Reservation System) কাকে বলে?
উত্তরঃ যোগাযোগ ক্ষেত্রে রিজার্ভেশন সিস্টেম বর্তমানে বহুল প্রচলিত। ইলেকট্রনিক উপায়ে আসনবিন্যস্ত করাকে রিজার্ভেশন সিস্টেম বলে। যেমন- বিমান, রেলওয়ে, দূরপাল্লার বাস, হোটেলের সিট অগ্রিম বুকিং ইত্যাদি।

আশা করি প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন