কোল গ্যাস কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “কোল গ্যাস কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
কোল গ্যাস কি?
উত্তরঃ কোল গ্যাস হচ্ছে হাইড্রোজেন, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, ইথিলিন, অ্যাসিটিলিন, বেনজিন বাষ্প, নাইট্রোজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড, অক্সিজেন ইত্যাদি গ্যাসের মিশ্রণ। ইহা প্রধানত জ্বালানীরূপে ও আলোক উৎপাদকরূপে ব্যবহৃত হয়। কয়লার অন্তর্ধূমে পাতন করলে এটি উদ্বায়ী ও অনুদ্বায়ী দুই প্রকারের পদার্থ সৃষ্টি করে। শৈত্য প্রয়োগে উদ্বায়ী পদার্থের এক অংশ তরলরূপে পৃথক হয়। অবশিষ্ট গ্যাসীয় অংশ কোল গ্যাস নামে পরিচিত। কোল গ্যাসের উৎপাদন খনিজ কয়লার প্রকৃতি ও অন্তর্ধূম পাতনের তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
প্রধানতঃ কার্বনমনোক্সাইডের উপস্থিতির জন্য কোল গ্যাস বিষাক্ত হয়।
রসায়ন (Chemistry) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। বেনজিনের ওজোনীকরণ করলে কী ঘটে? সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ জিংক গুঁড়ার উপস্থিতিতে সাধারণ তাপমাত্রায় বেনজিনের মধ্যে ওজোন গ্যাস চালনা করলে বেনজিন ট্রাইওজোনাইড গঠিত হয়। বেনজিন ট্রাইওজোনাইডকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে গ্লাই অক্সাল ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। জারণধর্মী H2O2 জিংক গুঁড়ার সাথে বিক্রিয়া করে বিনষ্ট হয়।
এ বিক্রিয়ায় জিংক ব্যবহার না করলে জারণধর্মী H2O2 গ্লাইঅক্সালকে জৈব এসিডে জারিত করে।প্রশ্ন-২। ফল পাকানোতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব বর্ণনা করো।
উত্তরঃ কৃত্রিমভাবে ফল পাকাতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন— ইথিলিন গ্যাস, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইথোফেন প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। ফল পাকাতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এটি চোখ, ত্বক, ফুসফুস ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। এর প্রভাবে অক্সিজেন সরবরাহের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল পাকাতে ব্যবহৃত শিল্পগ্রেডের CaC2 এ বিষাক্ত আর্সেনিক এবং ফসফরাস থাকে যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
প্রশ্ন-৩। অ্যাক্টিভেটর কি?
প্রশ্ন-৪। কিলেটস যৌগ বা চিলেট যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত লিগ্যান্ড তার অণুস্হিত বিভিন্ন পরমাণুর একাধিক ইলেকট্রন যুগল সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় পরমাণুর সাথে একাধিক সন্নিবেশ বন্ধন গঠন করে তাদেরকে কিলেটস যৌগ বা চিলেট যৌগ বলে। যেমনঃ ইথিলিন ডাই অ্যামিন (NH₂-CH₂-CH₂-NH₂); EDTA ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৫। লঘু এসিডের লিটমাস পরীক্ষা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ লঘু এসিডে ভেজা নীল লিটমাস কাগজ ডুবালে তা লাল হয়ে যায়। এটিই লঘু এসিডের লিটমাস পরীক্ষা। লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিডে (HCl) ভ্রাম্যমাণ H+ আয়ন অধিক থাকায়, লঘু HCl এ নীল লিটমাস কাগজ ডুবালে এটি লাল হয়ে যায়।
প্রশ্ন-৬। গ্যাসের ক্ষেত্রে দু'টি আপেক্ষিক তাপ থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ গ্যাসের ক্ষেত্রে তাপ প্রয়ােগ করা হলে উষ্ণতার পরিবর্তনের সাথে সাথে গ্যাসের চাপ অথবা আয়তন অথবা উভয়ই পরিবর্তিত হয়। তাই কোনাে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের তাপমাত্রা একই পরিমাণ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় তাপের পরিমাণও বিভিন্ন হয়।
সেজন্য গ্যাসের ক্ষেত্রে দুই ধরনের আপেক্ষিক তাপ বিবেচনা করা হয়। যথাঃ
i. স্থির চাপে গ্যাসের মােলার আপেক্ষিক তাপ
ii. স্থির আয়তনে গ্যাসের মােলার আপেক্ষিক তাপ।
স্থির আয়তনের বেলায়, কাজ সম্পন্ন হয় না ফলে গ্যাসের তাপমাত্রা একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে অপেক্ষাকৃত কম তাপ লাগে।
কিন্তু স্থির চাপের বেলায়, আয়তনের পরিবর্তন ঘটায় কাজ সম্পন্ন হয়, ফলে ঐ একই গ্যাসের তাপমাত্রা একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে অপেক্ষাকৃত বেশি তাপ লাগে।
প্রশ্ন-৭। ওজোন গ্যাসের উৎস কী কী?
উত্তরঃ মোটরগাড়ির ইঞ্জিন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াশা, প্রকৃতিতে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ, বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের ফলে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ উৎপন্ন হয়।
মূলত এরা বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত হাইড্রোকার্বনসমূহ ও অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ওজোন (O3) গ্যাসের সৃষ্টি করে থাকে।
প্রশ্ন-৮। সোডা অ্যাস কি?
উত্তরঃ সোডিয়াম কার্বনকে (Na2CO3) সোডা অ্যাস বলে।
প্রশ্ন-৯। ফ্যারাডের তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রথম সূত্র কী?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় যে কোনো তড়িৎদ্বারে সঞ্চিত বা দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ প্রবাহিত বিদ্যুতের পরিমাণের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-১০। কস্টিক সোডা কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ কস্টিক সোডার ব্যবহার নিচে তুলে ধরা হলো–
১. টয়লেট ক্লিনার প্রস্তুতিতে কস্টিক সোডা ব্যবহৃত হয়।
২. সাবান, কাগজ, রং, কৃত্রিম রেশম তৈরিতে কস্টিক সোডা ব্যবহৃত হয়।
৩. ডিটারজেন্ট প্রস্তুতিতে কস্টিক সোডা ব্যবহৃত হয়।
৪. সোডিয়াম ধাতু উৎপাদনে কস্টিক সোডা ব্যবহৃত হয়।
৫. পেট্রোলিয়াম শোধনে কস্টিক সোডা ব্যবহৃত হয়।