যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর কাকে বলে? কীভাবে ধ্বনি তৈরি হয়?: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর কাকে বলে? কীভাবে ধ্বনি তৈরি হয়?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর কাকে বলে?
দুই বা দুইয়ের অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে যুক্তবর্ণ গঠিত হয়। যেমন- ক এবং ত মিলে হয় = ক্ত, স এবং ক মিলে হয় = স্ক, ষ এবং ট মিলে হয় = ষ্ট ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় যুক্তবর্ণের সংখ্যা অনেক।
যুক্তবর্ণকে সংযুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষরও বলা হয়। যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষরগুলো কখনো উপর-নিচ, আবার কখনো বা পাশা-পাশি লেখা হয়।
অর্থাৎ, দুই বা ততোধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে যে নতুন ব্যঞ্জনবর্ণ গঠন করে, তাকে যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর বলে। যেমন– স্ক (স + ক), ক্ত (ক + ত), ন্দ (ন+ দ), ষ্ঠ (ষ + ঠ) ইত্যাদি।
কীভাবে ধ্বনি তৈরি হয়?
ধ্বনি তৈরিতে ফুসফুস, কণ্ঠনালী, তালু, জিহ্বা, মূর্ধা, নাক, দাঁত, ঠোঁট ইত্যাদি প্রত্যঙ্গ ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বাক-প্রত্যঙ্গ বলে। আর এসব বাক-প্রত্যঙ্গের সম্মিলিত নাম বাগযন্ত্র।
মানুষ তার বাগযন্ত্রের সাহায্যে ধ্বনি তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবে ফুসফুস তাড়িত বাতাস থেকেই ধ্বনি তৈরি হয়। কথা বলার সময় শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোনো না কোনোটাকে নাড়াচাড়া করতে হয়।
ফুসফুস, স্বরতন্ত্রী, বায়ুনালী, স্বরযন্ত্র, নাসাপথ, দাঁত, ঠোঁট, জিহ্বা, আলজিহ্বা, তালু, মূর্ধা প্রভৃতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যেই মানুষ ধ্বনি তৈরি করে থাকে।
আশা করি “যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর কাকে বলে? কীভাবে ধ্বনি তৈরি হয়?”এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"