রোধ কি? রোধ এর একক কি? রোধের সূত্রগুলো কি কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “রোধ কি? রোধ এর একক কি? রোধের সূত্রগুলো কি কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হয় ইলেকট্রনের প্রবাহের জন্য। কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে এই প্রবাহ শুরু হয়।
এক্ষেত্রে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। এই ইলেকট্রন স্রোত পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অভ্যন্তরস্থ অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ফলে এর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহও বিঘ্নিত হয়। পরিবাহীর এই বাধাদানের ধর্ম হলো রোধ।
পরিবাহীর রোধ তাপমাত্রা, উপাদান, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের উপর নির্ভর করে।
রোধের সূত্র
রোধের সূত্রগুলো হলো :
১. দৈর্ঘ্যের সূত্র : তাপমাত্রা, প্রস্থচ্ছেদ এবং উপাদান স্থির থাকলে কোনো একটি পরিবাহীর রোধ তার দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক। অর্থাৎ একই উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের লম্বা তারের রোধ বেশি এবং ছোট তারের রোধ কম। R ∝ L (A স্থির)।
২. প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের সূত্র : তাপমাত্রা, দৈর্ঘ্য এবং উপাদান স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ তার প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ একই উপাদান ও দৈর্ঘ্যের সরু তারের রোধ বেশি ও মোটা তারের রোধ কম। R ∝ 1/A (L স্থির)।
৩. উপাদানের সূত্র : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট বিভিন্ন উপাদানের পরিবাহকের রোধ বিভিন্ন হয়। অর্থাৎ দুটি ভিন্ন উপাদানে তৈরি সমান দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট তার নিলে তাদের রোধ ভিন্ন হবে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে রোধ কি? রোধ এর একক কি? রোধের সূত্রগুলো কি কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।