ভ্যানিশিং ক্রিম (স্নো) কি? ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরির প্রধান উপাদান কি কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ভ্যানিশিং ক্রিম (স্নো) কি? ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরির প্রধান উপাদান কি কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
ভ্যানিশিং ক্রিম (স্নো) কি?
ভ্যানিশিং ক্রিম এক বিশেষ ধরনের ক্রিম যা ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে ত্বককে আকর্ষণীয় ও লাবণ্যময় করে তোলে। এটি খুব দ্রুত এবং সহজে ত্বকে মিশে যায় বা অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই একে ভ্যানিশিং ক্রিম বলে। ভ্যানিশিং ক্রিম বা স্নো হল পানিতে তেলের ইমালশন। এটি ত্বকের ভেতর প্রবেশ করে ত্বককে স্বাস্থ্যবান ও সতেজ করে তোলে। গরমের দিনে এর ব্যবহার আরামপ্রদ। ভ্যানিশিং ক্রিমে প্রধান উপাদান হিসেবে স্টিয়ারিক এসিড ব্যবহার করা হয়। এটি একটি উচ্চতর ফ্যাটি এসিড যার সংকেত C17H35COOH; এটি সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ এবং এর বর্ণ সাদা। একটি উন্নতমানের ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরিতে 20% স্টিয়ারিক এসিড ব্যবহার করতে হয়।
এ এসিডকে প্রমিতকরণের জন্য ক্ষার ব্যবহার করতে হবে এমনভাবে যাতে 24-30% এসিড ক্ষার দ্বারা প্রশমিত হয়। যদি সমস্ত এসিড ক্ষার দ্বারা প্রশমিত হয় তাহলে ক্রিম আর ক্রিম থাকবে না, এটি সাবানে পরিণত হবে। স্টিয়ারিক এসিড ক্ষারের সাথে সাবানায়ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে সাবান সদৃশ ইমালসন তৈরি করে যা পানিতে মিশে থাকে। আজকাল ভ্যানিসিং ক্ৰিমে 2-3 % গ্লিসারিন মিশানো হয়, তবে গ্লিসারিন পরিমাণ বেশি হলে ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বক চটচটে হয়। কারবিটল ব্যবহার করলে এ সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়। ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরির বিভিন্ন প্রণালি প্রচলিত রয়েছে।
ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরির প্রধান উপাদান কি কি?
নিচে ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরির একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রণালি ও ফর্মুলা দেওয়া হলো—
উপকরণ ও পরিমাণ:
স্টিয়ারিক এসিড - 200g
কস্টিক পটাশ - 14g
পানি (পাতিত) - 756g
কারবিটাল - 20g
সুগন্ধি - 10g
ওয়াটার জ্যাকেট ও মিক্সিং মেশিনে প্রথমে স্টিয়ারিক এসিডকে 80-85°C তাপমাত্রায় গলিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে গ্লিসারিন বা কারবিটল এর সাথে পানি নিয়ে 80-85 ° C তাপমাত্রায় গরম করতে হবে। এর সাথে ক্ষার মিশিয়ে নিতে হবে ক্ষারযুক্ত দ্রবণকে গলিত স্টিয়ারিক এসিডে মিশিয়ে মিক্সিং মেশিনে ভালোভাবে চালাতে হবে, যেন উপাদানগুলো পরস্পরের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়। এরপর মেশিন থেকে মিশ্রণ বের করে ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হবার সময় মিশ্রণটি ক্রমশ গাঢ় হতে থাকবে। এ সময় এর সাথে প্রয়োজনীয় সুগন্ধি মিশিয়ে দিতে হবে। এভাবে তৈরি হয়ে গেল উন্নতমানের ভ্যানিশিং ক্রিম।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ভ্যানিশিং ক্রিম (স্নো) কি? ভ্যানিশিং ক্রিম তৈরির প্রধান উপাদান কি কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।