ডিজিটাল মানিব্যাগ কি?: আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “ডিজিটাল মানিব্যাগ কি?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
ডিজিটাল মানিব্যাগ কি?
ডিজিটাল মানিব্যাগ হলো এমন একটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার যা ইলেকট্রনিক ডিভাইস (স্মার্টফোন) এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তির ইলেকট্রনিক লেনদেন সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এটা কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে যে কোন কেনাকাটায় জড়িত। বর্ধিতভাবে বললে বোঝা যায়, ডিজিটাল মানিব্যাগ শুধুমাত্র মৌলিক কেনাকাটায় জড়িত নয় বরং এটি গ্রাহকের পরিচয়পত্রের সত্যতা প্রমাণ করে।
উদাহরণস্বরূপ; গ্রাহক যখন অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য ক্রয় করে থাকে তখন তার বয়সের প্রমাণ দেয়। ‘
ডিজিটাল মানিব্যাগ’ শব্দটিকে একটি একক প্রযুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত না করে বরং এটাকে তিনটি খন্ডে বিভক্ত করা ভাল; যেমনঃ একটি সিস্টেম (ইলেকট্রনিক পরিকাঠামো) এবং এপ্লিকেশন (একটি সফটওয়্যার যা উপরের দিক পরিচালিত হয়ে থাকে) এবং যন্ত্র (একক অংশ)।
কোন ব্যক্তির একক ব্যাংক একাউন্ট ডিজিটাল মানিব্যাগের সাথে যুক্ত থাকতে পারে। সেখানে তাদের ফোনে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্বাস্থ্য কার্ড, লয়ালিটি কার্ডগুলি এবং অন্যান্য পরিচয়পত্রসমূহ যা ফোনে জমা করা থাকে।
এতে near field communication (NFC), এর মাধ্যমে প্রমাণপত্রাদি ওয়্যারলেসের মাধ্যমে পাঠানো যাবে ব্যবসায়ীদের কাছে (মার্চেন্ট টার্মিনালে)। কোন কোন সাোর্স গবেষণা করে দেখিয়েছে যে এই সকল স্মার্টফোন ‘ডিজিটাল মানিব্যাগগুলি’ প্রতিস্থাপিত হতে পারে শারীরিক মানিব্যাগগুলির মাধ্যমে।
এ পদ্ধতি ইতিমধ্যেই জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেখানে ডিজিটাল মানিব্যাগগুলি পরিচিত Osaifu-Keitai অথবা ‘মোবাইল মানিব্যাগ’ হিসেবে। ২০১১ সালে গুগল, গুগল ওয়ালেট নামে ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করে।
প্রযুক্তি
ডিজিটাল মানিব্যাগে সফটওয়্যার এবং তথ্য উভয় অংশই থাকে। সফটওয়্যার, ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ এনক্রিপ করা এবং প্রকৃত লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। মূলত: ডিজিটাল মানিব্যাগ ক্রেতাদের দিকে মজুদ করা থাকে এবং সহজে নিজের দ্বারা নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং বেশিরভাগ ই-বাণিজ্য সাইটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
একটি সার্ভার সাইট ডিজিটাল মানিব্যাগ, পরিচিত একটি পাতলা মানিব্যাগ হিসেবে, যা একটি সংস্থা আপনার জন্য এবং আপনার সম্পর্কে তৈরি করে থাকে, এবং এর সার্ভারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
সার্ভারের দিকের ডিজিটাল মানিব্যাগগুলো দিন দিন জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে নিরাপত্তা, দক্ষতা এবং সর্বশেষ ব্যবহারকারী পর্যন্ত উপযোগিতা সরবরাহ করে থাকে, যা তাদের সর্বাত্মক বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উপভোগ্যতা বৃদ্ধি করে থাকে।
তথ্য সম্বলিত উপাদানটি একটি ডাটাবেজ যা মূলত ব্যবহারকারী প্রদত্ত তথ্য দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই তথ্য ধারণ করে থাকে আপনার শিপিং ঠিকানা, বিলিং ঠিকানা, পেমেন্ট পদ্ধতি (ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, উত্তীর্ণ তারিখ এবং নিরাপত্তা নাম্বার) এবং অন্যান্য তথ্যসমূহ।
ডিজিটাল মানিব্যাগের ব্যবহার
একটি ডিজিটাল মানিব্যাগ ব্যবহার করার সময় ক্রেতাদের অর্ডার ফরম পূরণ করার প্রয়োজন হয় না। তারা কেনাকাটার সময় তাদের তথ্য ভেন্ডরের সাইটে সংরক্ষিত হয়ে থাকে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে থাকে।
ক্রেতারাও ডিজিটাল মানিব্যাগ ব্যবহারের কারণে লাভবান হবেন কারণ তাদের তথ্য এনক্রিপ্ট করা আছে অথবা একটি ব্যক্তিগত সফটওয়্যার কোডের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থাকে এবং প্রতারণার বিপক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়ে থাকেন।
ডিজিটাল ওয়ালেট ক্রেতারা ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন এবং তারা সহজেই ধারণ করতে পারেন।
ই-বাণিজ্য সাইটের জন্য সুবিধাসমূহঃ অনলাইনে ফরম পূরণে প্রতারণার শিকার হয়ে ২৫% লোক অনলাইনে কেনাকাটা করার থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করেছে (মাসিক গ্রাফিক চিত্র, ১৯৯৯)।
ডিজিটাল মানিব্যাগ ক্রেতাদেরকে তাদের তথ্য সঠিকভাবে এবং নিরাপত্তার সাথে ট্রান্সফার করার সুযোগ দিয়ে এ অসুবিধা দূর করেছে।
ডিজিটাল ওয়ালমেটের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার এই সহজতম পদ্ধতির ফলাফল ক্রেতাদের কে দিয়েছে আরও ব্যবহারযোগ্যতার এবং পরিণামযোগ্যতার উপযোগিতা।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে ডিজিটাল মানিব্যাগ কি? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।