প্রথম অধ্যায় : কোষ ও এর গঠন, জীববিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন ও উত্তর [2023]

প্রথম অধ্যায় : কোষ ও এর গঠন, জীববিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন ও উত্তর:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “প্রথম অধ্যায় : কোষ ও এর গঠন, জীববিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন ও উত্তর” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

কলিচুন এর সাথে শুষ্ক ক্লোরিনের বিক্রিয়া

প্রথম অধ্যায় : কোষ ও এর গঠন, জীববিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। সোরাস কী?

উত্তরঃ Pteris উদ্ভিদের স্পোরাঞ্জিয়াম গুচ্ছই হলো সোরাস।

প্রশ্ন-২। কোষ কি? (What is Cell?)

উত্তরঃ কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কাজের একক।

প্রশ্ন-৩। ছত্রাকের কোষ প্রাচীর কী দিয়ে নির্মিত?

উত্তরঃ ছত্রাকের কোষ প্রাচীর কাইটিন দিয়ে নির্মিত।

প্রশ্ন-৪। নিউক্লিওটাইড কী? (What is Nucleotide?)

উত্তরঃ এক অণু নিউক্লিওসাইড-এর সাথে এক অণু ফসফেট যুক্ত হয়ে গঠিত যৌগই হলো নিউক্লিওটাইড।

প্রশ্ন-৫। জিন কি?

উত্তরঃ জিন হলো ক্রোমোসোমের লোকাসে অবস্থিত DNA অণুর সুনির্দিষ্ট অংশ, যা জীবের একটি নির্দিষ্ট কার্যকরী সংকেত আবদ্ধ করে রাখে এবং প্রোটিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কোষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়।

প্রশ্ন-৬। মাশরুম কী?

উত্তরঃ যে সকল ছত্রাকের মাংসল ও ভক্ষণযোগ্য ফ্রুটবডি থাকে তারাই হলো মাশরুম।

প্রশ্ন-৭। সংকরায়ন কী?

উত্তরঃ জিনগত বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতাযুক্ত দুই বা ততোধিক উদ্ভিদের মধ্যে ক্রস ঘটিয়ে নতুন উন্নত জাত সৃষ্টির প্রক্রিয়াই সংকরায়ন।

প্রশ্ন-৮। ব্যাকটেরিওফায কী?

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ভাইরাসই হলো ব্যাকটেরিওফায।

প্রশ্ন-৯। এনজাইম কী?

উত্তরঃ যে প্রোটিন জীবদেহে অল্প মাত্রায় বিদ্যমান থেকে বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়া শেষে নিজেরা অপরিবর্তিত থাকে তাই হলো এনজাইম।

প্রশ্ন-১০। প্রজাতি কি?

উত্তরঃ প্রজাতি হলো সর্বাধিক বৈশিষ্ট্যের মিল সম্পন্ন একদল জীব যাদের মধ্যে যৌন মিলনে উর্বর বংশধর উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন-১১। থাইলাকয়েড কী?

উত্তরঃ ক্লোরোপ্লাস্টে গ্রানার এক একটি একক, যা দেখতে চ্যাপ্টা থলে আকৃতির তাই হলো থাইলাকয়েড।

প্রশ্ন-১২। মাইসেলিয়াম কী?

উত্তরঃ অনেকগুলো হাইফির একত্রে অবস্থানের ফলে গঠিত ছত্রাক দেহই হলো মাইসেলিয়াম।

প্রশ্ন-১৩। প্লাজমামেমব্রেন কী?

উত্তরঃ কোষ প্রাচীরের ঠিক নিচে সমস্ত প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে সজীব, নরম মেমব্রেন থাকে তাই হলো প্লাজমামেমব্রেন।

প্রশ্ন-১৪। হায়ালোপ্লাজম কী?

উত্তরঃ সাইটোপ্লাজমের অঙ্গাণুসমূহ ছাড়া সেখানকার অর্ধতরল, অর্ধস্বচ্ছ, দানাদার ও সমধর্মী কলয়ডীয় পদার্থই হায়ালোপ্লাজম।

প্রশ্ন-১৫। গলজি বস্তু কী?

উত্তরঃ কোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনকারী জটিল গঠন বিশিষ্ট অঙ্গাণুগুলোর নাম গলজি বস্তু। Camillo Golgi (1898) পেঁচার স্নায়ু কোষ থেকে এগুলো আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন-১৬। গলজি বস্তুর প্রধান কাজ কী কী?

উত্তরঃ গলজি বস্তুর প্রধান কাজ–

  • কোষের ভেতরের বিভিন্ন ক্ষরিত পদার্থ কোষের বাইরে নিক্ষেপ করা।
  • এরা প্রোটিন অণুসমূহ বাছাই করে সঠিক স্থানে প্রেরণ করে।
  • এরা মাইটোকন্ড্রিয়াকে ATP উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে।

প্রশ্ন-১৭। ক্রোমোনেমাটা কী?

উত্তরঃ একটি ক্রোমোজোমের প্রতি ক্রোমাটিডে দুই বা ততোধিক সূক্ষ্ণ সুতার মতো বস্তুর নাম ক্রোমেনেমাটা।

প্রশ্ন-১৮। সেন্ট্রোমিয়ার কী?

উত্তরঃদুটি ক্রোমাটিড যে গোলাকার, বর্ণহীন ও সংকুচিত বিন্দুতে যুক্ত থাকে তার নাম সেন্ট্রোমিয়ার।

প্রশ্ন-১৯। টেলোমিয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ ক্রোমোজোমের প্রান্তগুলোকে টেলোমিয়ার বলে।

প্রশ্ন-২০। কোষঝিল্লির কাজ কি?

উত্তরঃ কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করে। কোষের ভিতরকার সজীব অংশকে রক্ষা করে অর্থাৎ বাইরের প্রতিকূল অবস্থা হতে অভ্যন্তরীণ বস্তুকে রক্ষা করে। বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণু যেমন- গলজি বডি, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ইত্যাদি সৃষ্টিতে সহায়তা করে। 

এটি একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দা যা কোষের বাইরে ও ভিতরের বস্তুসমূহর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এনজাইম ও অ্যান্টিজেন ক্ষরণ করে। শ্বসন ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজে শক্তি সরবরাহ করে। মাইক্রোভিলাই সৃষ্টি করে কোষের শােষণতল বৃদ্ধি করে।

প্রশ্ন-২১। ক্লোরোপ্লাস্ট কী? এর রং সবুজ কেন?

উত্তরঃ সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। ক্লোরোফিল নামক সবুজ বর্ণ কণিকা অধিকমাত্রায় ধারণ করে বলে এদের বর্ণ সবুজ হয়, তবে অন্যান্য বর্ণ কণিকাও কিছু পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। উদ্ভিদের পাতা, সবুজ কচি কান্ড, কাঁচা ফল ইত্যাদির কোষে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদকোষে কম সংখ্যায় (১-৫টি) এবং উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদকোষে অধিক সংখ্যায় ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।

প্রশ্ন-২২। ক্লোরোপ্লাস্টের কাজ কী?

উত্তরঃ ক্লোরোপ্লাস্টের কাজগুলো হচ্ছেঃ

  1. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করা।
  2. এরা NADPH2 উৎপাদন করে এবং পানি ভেঙ্গে অক্সিজেন মুক্ত করে।
  3. এরা কোষীয় ফটোফসফোরাইলেশন দ্বারা ADP কে ATP-তে রূপান্তরিত করে।
  4. অনেকসময় এরা কোষের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড তৈরি করে এবং উদ্ভিদের বংশগতিয় বস্তু বহন করে।


প্রশ্ন-২৩। মাইটোকন্ড্রিয়া কী?

উত্তরঃ দেহের যাবতীয় জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির একমাত্র উৎস, সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো, অতি ক্ষুদ্র ও বিভিন্ন আকৃতির কোষ অঙ্গাণুর নাম মাইটোকন্ড্রিয়া।

প্রশ্ন-২৪। মাইট্রোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজগুলো কী কী?

উত্তরঃ ১। মাইটোকন্ড্রিয়াতে কোষীয় শ্বসনের ক্রেবস চক্র সংঘটিত হয়। এতে জীবদেহের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। এ জন্য এদেরকে কোষের শক্তিঘর (Power-house) বলা হয়।

২। এরা প্রোটিন সংশ্লেষেণের প্রয়োজনীয় এনজাইম ধারণ করে।

৩। মাইটোকন্ড্রিয়াতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটায়ন, যেমন— Ca++, S++, Fe++, Min++ ইত্যাদি সঞ্চিত থাকে।

৪। ডিম্বাণু ও শুক্রাণু গঠনে অংশগ্রহণ করে।

৫। DNA ও RNA সংশ্লেষ করে।


ক্রোমোজোমের কাজগুলো উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ক্রোমোজোমের কাজগুলো হলো–

  1. পিতামাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত করে;
  2. নিউক্লিয়াসের আকার-আকৃতি প্রদান করে;
  3. প্রোটিন সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে;
  4. জিনের মাধ্যমে বংশাণুক্রমিক বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে।



DNA কী?

উত্তরঃ সজীব কোষে অবস্থিত স্বপ্রজননশীল, পরিব্যক্তিক্ষম যাবতীয় জৈবিক কাজের নিয়ন্ত্রক এবং বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক যে নিউক্লিক এসিড তাকে DNA বলে।


DNA- এর কাজ কী?

উত্তরঃ DNA এর কাজ হলো—

  1. কোষ বিভাজনের সময় নির্ভুল প্রতিলিপি সৃষ্টি করে;
  2. বংশগতির সমস্ত জৈবিক সংকেত বহন করে;
  3. নির্দিষ্ট ধরনের প্রোটিন সংশ্লেষ করে।


প্রশ্ন-২৫। লাইকেন বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থানই হলো লাইকেন।

লাইকেনের ছত্রাক সদস্যকে মাইকোবিয়োন্ট ও শৈবাল সদস্যকে ফাইকোবিয়োন্ট বলে। এদের এই সহাবস্থানের ফলে উভয়ই একে অন্যের দ্বারা উপকৃত হয়। শৈবাল খাদ্য সরবরাহ করে এবং ছত্রাক শৈবালকে বাসস্থান প্রদান করে। এদের এ সহাবস্থানকে মিথোজীবিতাও বলা হয়।

প্রশ্ন-২৬। ট্রিপলেট কোডন বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ অ্যামিনো অ্যাসিডের সংকেত গঠনকারী তিনটি নাইট্রোজেন বেসের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপকে বলা হয় ট্রিপলেট কোডন। 

প্রতিটি জেনেটিক কোডই হলো এক একটি ট্রিপলেট কোডন। প্রতিটি ট্রিপলেট কোডন কোনো একটি সুনির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডকে নির্দেশ করে।

প্রশ্ন-২৭। লাইসোজোমকে সুইসাইডাল স্কোয়াড বলা হয় কেন?

উত্তরঃ তীব্র খাদ্যভাবের সময় লাইসোজোমে প্রাচীর ফেটে যায় এবং আবদ্ধকৃত এনজাইম বের হয়ে কোষের অন্যান্য অঙ্গানুগুলো বিনষ্ট করে দেয়। এভাবে সমস্ত কোষটিও পরিপাক হয়ে যেতে পারে। এজন্য একে সুইসাইডাল স্কোয়াড বলা হয়।

প্রশ্ন-২৮। উগ্যামাস প্রকৃতির জনন বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যে যৌন জননে বৃহদাকার নিশ্চল স্ত্রী জনন কোষের সাথে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র সচল পুংজনন কোষের মিলন ঘটে তাকে উগ্যামাস প্রকৃতির জনন বলে। 

এ ধরনের জননে অংশগ্রহণকারী গ্যামিটকে বলা হয় হেটেরোগ্যামিটস। আইসোগ্যামাস, অ্যানাইসোগ্যামাস এবং উগ্যামাস প্রকৃতির জননের মধ্যে উগ্যামাস উন্নত প্রকৃতির। Oedogonium নামক শৈবালে উগ্যামাস প্রকৃতির জনন দেখা যায়।

প্রশ্ন-২৯। কোন অঙ্গাণুকে কেন কোষের প্রোটিন তৈরির কারখানা বলা হয়?

উত্তরঃ কোষীয় অঙ্গাণু রাইবোজোমকে প্রোটিন তৈরির কারখানা বলা হয়। কারণ রাইবোজোমের প্রধান কাজই হলো প্রোটিন সংশ্লেষণ করা। রাইবোজোম mRNA আবদ্ধ করে tRNA-এর মাধ্যমে প্রেরিত সংকেত অনুযায়ী অ্যামিনো অ্যাসিড সংযুক্ত করে পলিপেপটাইড চেইন গঠন করে। প্রোটিন সংশ্লেষণের স্থানও রাইবোজোমের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৩০। নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?

উত্তরঃ নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের কেন্দ্রে অবস্থান করে। এতে ক্রোমোসোম ও DNA থাকে যার দ্বারা বংশপরম্পরায় জীবের বৈশিষ্ট্য রক্ষা পায়। নিউক্লিয়াস একটি কোষের সব ধরনের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। একারণেই নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।

প্রশ্ন-৩১। জীব-বৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ পৃথিবীতে বিরাজমান জীবসমূহের সামগ্রিক সংখ্যা প্রাচুর্য ও ভিন্নতাই হলো জীববৈচিত্র্য। জীব বলতে অণুজীব, ছত্রাক, উদ্ভিদ ও প্রাণীকে বোঝায়। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির জীব রয়েছে। এরা একটি থেকে অপরটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এবং পৃথকযোগ্য। পৃথিবীর সকল জীব জীববৈচিত্র্যের মূল উপাদান।


সেন্ট্রোজোম ও সেন্ট্রোমিয়ার এর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ সেন্ট্রোজোম ও সেন্ট্রোমিয়ার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ–

সেন্ট্রোজোম

  • এটি প্রধানত প্রাণিকোষে থাকে।
  • এটি সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু।
  • RNA ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
  • এতে সেন্ট্রিওল থাকে।
  • মাকুযন্ত্র গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।

সেন্ট্রোমিয়ার

  • উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই পাওয়া যায়।
  • এটি নিউক্লিয় বস্তু।
  • DNA ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
  • সেন্ট্রিওল অনুপস্থিত।
  • ক্রোমোজমকে মাকুর সাথে যুক্ত রাখে।

রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ রাইবোজোম ও লাইসোজোমের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

রাইবোজোম

  • কোন আবরণী দিয়ে আবৃত নয়।
  • এটি RNA ও হিস্টোন (প্রোটিন) দিয়ে গঠিত।
  • এরা বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণুর গায়ে লাগানো বা সাইটোপ্লাজমে বিচ্ছিন্নভাবে থাকে।
  • এটি দুটি অসমান খন্ডে বিভক্ত।
  • এটি প্রোটিন সংশ্লেষের স্থান হিসেবে কাজ করে।
  • লাইসোজোম
  • আবরণী দিয়ে আবৃত থাকে।
  • এতে বহু এনজাইম আছে।
  • কোষের সাইটোপ্লাজমে সর্বত্র প্রায় সমপরিমাণে বণ্টিত থাকে।
  • এটি অখন্ডিত।
  • এটি অন্তঃকোষীয় পরিপাকে সাহায্য করে।

সেন্ট্রোমিয়ার ও ক্রোমোমিয়ার এর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ সেন্ট্রোমিয়ার ও ক্রোমোমিয়ার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

সেন্ট্রোমিয়ার

  • রঞ্জিত ক্রোমোজোমে অরঞ্জিত স্থান বিশেষ।
  • সকল ক্রোমোজোমেই দেখা যায়।
  • এখানে RNA অল্প কুণ্ডলিত।
  • প্রতি ক্রোমোজোমে সাধারণত একটি থাকে।
  • সেন্ট্রোমিয়ারে সাধারণত কোন জিন থাকে না।

ক্রোমোমিয়ার

  • এরা ক্রোমোজোমে অবস্থিত।
  • সাধারণত মাইটোটিক ক্রোমোজোমে দেখা যায় না, মিয়োটিক প্রোফেজ পর্যায়ে দেখা যায়।
  • এখানে DNA অধিক কুণ্ডলিত।
  • প্রতি ক্রোমোজোমে অনেক থাকে।
  • প্রতি ক্রোমোমিয়ারে এক বা একাধিক জিন থাকে।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে প্রথম অধ্যায় : কোষ ও এর গঠন, জীববিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন ও উত্তর বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন