সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কি? | পুরকৌশলী কি?

আজকে আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের জন্য নিয়ে এসেছি “সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী কি ”। আসা করি আপনাদের এই টপিক পছন্দ হবে। তো চলুন পড়া যাক:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী কি?

পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর

যেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের উল্লেখযোগ্য হলক স্ট্রাকচারাল, জিওটেক , ট্রান্সপোর্টসন, হাইড্রলিক,এনভায়রনমেনটাল , ইত্যাদি ।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব এবং প্রয়োগ

সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। প্রকৌশল বিজ্ঞান এর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। পানি,বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্ন উপায় নিয়েও সজাগ।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখাগুলি

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধাণ ৭ টি শাখা আছে নিচে এগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল:

  1. স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  2. এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  3. জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  4. ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং
  5. ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
  6. কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
  7. আরবান এবং কম্যিনিটা প্লানিং

স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং

বাড়ি,হোটেল, পার্ক, ব্রীজ, বিল্ডিং ইত্যাদির উপরে নিজস্ব ভার বা বাইরের ভার প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বাতাস,পানি,ভুমিকম্প,তাপমাত্রা ইত্যাদির প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য সিমেন্ট,বালি,রি-ইনফোর্সমেন্ট,কাঠ, অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে সঠিক ডিজাইন করা হলো এই শাখার কাজ।

এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং

পরিবেশ তথা বাতাস এবং পানির দুষণ রোধ, বিশুদ্ধকরণ ইত্যাদি করা এই শাখার কাজ। বর্তমানে এটি একটি গুরুত্বপুর্ন শাখা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য, মল ইত্যাদি অপসারণ এবং বিশুদ্ধকরণ করা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই শাখাতে।

জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রায় সকল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাতেই এটি কাজে লাগে। কারণ বেশির ভাগ স্ট্রাকচার ভুমির উপর অবস্থিত। মাটি বা পাথরের এর উপর স্ট্রাকচার এর প্রভাব এবং এদের বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি। ভুগর্ভের সিপেজ,ভুমিকম্পের প্রভাব, স্থিতিশিলতা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাটি। বাধ, রিটেইনিং ওয়াল, ফাউন্ডেশন ইত্যাদির আংশিক ডিজাইন করা হয় এই শাখার মাধ্যমে।

ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং

পানি আমাদের জিবনে অনেক গুরুত্বপুর্ন এটা আমরা সবাই যেমন জানি, তেমনি এটাও ঠিক যে এটি অত্যান্ত্য সাধারণ একটি কথা। আবার এই পানি আমাদের মরণও ডেকে নিয়ে আসে। তাও আমরা জানি। পানি সম্পদ প্রকৌশল পানির ভৌত অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। বন্যা, শহরের-কারখানা-সেচ এর পানি সরবরাহ, নদি ভাঙ্গন রোধ, নদির শাষন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা এবং ডিজাইন করে থাকে। হাইড্রলিক পাওয়ার, বাধ, খাল, পানিধস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি।

ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

কোন সমাজের বৈশিষ্ঠ্য বা গুন এর যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। কোন সমাজের উন্নয়ন অনেকটা প্রভাবিত হয় এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। মানুষ, মালামাল ইত্যাদি পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে গবেষনা, ডিজাইন, সমস্যা, সমাধান নিয়ে কাজ করে ট্র্যান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। অল্প রাস্তায় অধিক পরিবহন সুবিধা, দুর্ঘটনা কমানো, খরচ কমানো ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এই শাখাটি।

কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

এই শাখাতে আলোচনা করা হয় যে কি ভাবে একটি কাঠামো গঠন করতে হবে। অর্থের ব্যবহার, সময়ের সংক্ষেপন, প্রয়োজনীয় মালামাল-যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যোগান, কাঠামো গঠনের পদ্ধতি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয় শাখাতে।

আরবান এবং কম্যিনিটা প্লানিং

নগরায়ণ এবং শহর পরিকল্পনা করা হয় মুলত একটি গোষ্ঠি নিয়ে কাজ করা। একটি গোষ্ঠি বা জোট এ কি কি লাগতে পারে এবং কিভাবে লাগাতে হবে তা নিয়ে গবেষণা করা হয় এই শাখাতে

আশা করি আপনারা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী কি , টপিকটি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট টি আপনার উপকারে আসে তা হলে শেয়ার করতে ভুলবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন