স্বাস্থ্যকর নগর তৈরীতে স্হাপনা গুলোকে পরিবেশ বান্ধব বৈশিষ্টযুক্ত করা ডেভেলপার ও নগর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব

আজকে আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের জন্য নিয়ে এসেছি “স্বাস্থ্যকর নগর তৈরীতে স্হাপনা গুলোকে পরিবেশ বান্ধব বৈশিষ্টযুক্ত করা ডেভেলপার ও নগর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব”। আসা করি আপনাদের এই টপিক পছন্দ হবে। তো চলুন পড়া যাক:

স্বাস্থ্যকর নগর তৈরীতে স্হাপনা গুলোকে পরিবেশ বান্ধব বৈশিষ্টযুক্ত করা ডেভেলপার ও নগর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী ডা: মো: আব্দুল মতিন বলেন আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর নগর তৈরীর ক্ষেত্রে ডেভেলপার ও নগর কর্তৃপক্ষের সমান দায়দায়িত্ব রয়েছে।

আজ নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্লাইমেট সামিট ২০১৪ যেখানে বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক উষ্ণতাসহ পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় বসবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন বলে আশা করা যায়। 

ক্লাইমেট সামিট ২০১৪ কে সামনে রেখে বাংলাদেশের শীর্ষ অনলাইন রিয়েল এস্টেট মার্কেটপ্লেস “লামুডির” পক্ষ থেকে ডা: মো: আব্দুল মতিন এর কাছে দেশের নগরায়ন ও পরিবেশ সম্বন্ধে মতামত জানতে চাওয়া হয়।

লামুডি বাংলাদেশকে তিনি জানান দেশের জনগন স্বাস্থ্যকর নগরায়ন ও আবাসনের ব্যপারে এখন আরো বেশী সচেতন। তিনি বলেন নগরায়নের অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যার মধ্যে আবাসন অন্যতম। 

নগর কর্তৃপক্ষের উচিৎ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া। এখন থেকে কর্তৃপক্ষের উচিৎ কোনো বাড়ির নকশা অনুমোদনের আগে দেখে নেয়া যে সেখানে কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব।

“স্থাপনাগুলোতে আরো বেশী পরিবেশ বান্ধব বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে আমরা আরো বেশী জ্বালানী সাশ্রয় করতে পারি। এই ধরনের টেকশই ঘরবাড়ি নগরবাসীর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করবে। 

আমার বিশ্বাস, নগর কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে কোনোভাবেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না নির্মানপ্রতিষ্ঠান সমূহ বিষয়টিকে নিজেদের দায়িত্ব বলে মনে না করবেন,” বাপা সাধারণ সম্পাদক বলেন।

জাতিসংঘ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় প্রকাশ করেছে যে সারা পৃথিবীর মোট গ্রীন হাউস গ্যাসের শতকরা ৭০ ভাগ নির্গত হয়ে থাকে শহরগুলো থেকে যা সরাসরি ক্রমবর্ধমান হারিকেন, টাইফুন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সম্পর্কিত।

বেপরোয়া নগরায়ন নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

লামুডি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ গ্রোভার এ ব্যপারে এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এরই মধ্যে লক্ষ্য করেছি যে মোটামুটি অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠানই এখন পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের প্রকল্প পরিকল্পনা করছেন। এটি অবশ্যই একটি ভালো চর্চা।


আশা করি আপনারা স্বাস্থ্যকর নগর তৈরীতে স্হাপনা গুলোকে পরিবেশ বান্ধব বৈশিষ্টযুক্ত করা ডেভেলপার ও নগর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, টপিকটি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট টি আপনার উপকারে আসে তা হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন