পঞ্চম অধ্যায় : ইন্টারনেট পরিচিতি, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- বিস্তারিত

পঞ্চম অধ্যায় : ইন্টারনেট পরিচিতি, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা পঞ্চম অধ্যায় : ইন্টারনেট পরিচিতি, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

পঞ্চম অধ্যায় : ইন্টারনেট পরিচিতি, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

পঞ্চম অধ্যায় : ইন্টারনেট পরিচিতি, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

ইন্টারনেট কি?

উত্তরঃ ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক। এক কথায় এটাকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বলে।


সার্চ ইঞ্জিন কী?

উত্তর : ইন্টারনেটে কোনো তথ্য খোঁজার জন্য যে বিশেষ এক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয় সেই সফটওয়্যারগুলোর নামই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন।


রাউটার কি?

উত্তরঃ রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি।


সুইচ কি?

উত্তরঃ সুইচ একটি ক্ষুদ্র আইসিটি যন্ত্র। বর্তমানে যেকোনো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে বেশিরভাগ সময় সুইচ ব্যবহার করা হয়।


নেটওয়ার্ক বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে বোঝায়।


ওয়েব ব্রাউজার কাকে বলে?

উত্তরঃ ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য যে বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।


ওয়েব ব্রাউজিং কি?

উত্তরঃ ওয়েব ব্রাউজিং হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সার্ভারে রাখা web page পড়া বা পরিদর্শন প্রক্রিয়া।


প্রথম ইন্টারনেট কত সালে কয়টি কম্পিউটার নিয়ে হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৬৯ সালে চারটি কম্পিউটার নিয়ে।


ভিন্ন দুটি নেটওয়ার্ক যুক্ত করে কে?

উত্তরঃ রাউটার।


পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্বকোষের ওয়েবসাইটের ঠিকানা কী

উত্তরঃ http://www.wikipedia.org/


নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক কী?

উত্তরঃ কতগুলো নেটওয়ার্ক একত্রে জুড়ে গঠিত হয় নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক।


তথ্য শেয়ারিং এর সহজ উপায় কী?

উত্তরঃ ওয়েবসাইট।


ব্রাউজিং কাকে বলে?

উত্তরঃ ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোকে ব্রাউজিং বলে।


ওয়েব ব্রাউজার কী ধরনের সফটওয়্যার?

উত্তরঃ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।


গুগল আর্থ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ ইন্টারনেটে একটি এলাকার নিখুঁত ম্যাপ দেখার জন্য গুগল ব্যবহার করা হয়।


কোনো সাইটের ঠিকানা ব্রাউজারের কোথায় লিখতে হয়?

উত্তরঃ অ্যাড্রেস বারে।


শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা লেখ।

উত্তর : শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা হলো–

১। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সার্চ দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যায়।

২। NCTB প্রণীত বইগুলো হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো শিক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারে।

৩। শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু ভালোভাবে বোঝা যায়।

ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকা মানে লক্ষ কোটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকা কেন?

উত্তর : সারা পৃথিবীর লক্ষ কোটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক হচ্ছে ইন্টারনেট। তাই এই নেটওয়ার্কের সাথে যে যুক্ত সে পৃথিবীর লক্ষ কোটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত।


ওয়েবসাইট কী? ওয়েবসাইট সম্পর্কে লেখ।

উত্তর : ওয়েবসাইট বলতে এমন একটি ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে ইন্টারনেটে নিজের তথ্য অন্যের সামনে তুলে ধরা হয়। কেউ যদি কারো কাছ থেকে তথ্য নিতে চায়, তাহলে তার ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে সব তথ্য সাজানো থাকে। যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে তারা চেষ্টা করে যেন প্রয়োজনীয় সব তথ্য সেই ওয়েবসাইট থেকে সহজে নেয়া যায়। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকে। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের একটা সহজ নাম থাকে। যেটা দিয়ে ওয়েবসাইটটি সহজে খুঁজে বের করা যায়।


‘ইন্টারনেট একটি বিশাল তথ্যভাণ্ডার’- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইন্টারনেট। মানুষের জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেট হচ্ছে সেই মাধ্যম যেখান থেকে মানুষ তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্যই পেয়ে যায়। ইন্টারনেটে এত বেশি তথ্যের সমাহার সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। কারণ ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। যে নেটওয়ার্কের অধীনে লক্ষ কোটি কম্পিউটার যুক্ত রয়েছে। আর নেটওয়ার্কে যুক্ত যেকোনো কম্পিউটার থেকে দেওয়া তথ্য যে কেউ দেখতে এবং নিতে পারে। সুতরাং এমন লক্ষ কোটি কম্পিউটার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সমাহার হলো এই ইন্টারনেট, যেখানে চাইলেই যে কেউ যেকোনো তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। এই জন্যই ইন্টারনেটকে বলা হয় বিশাল তথ্যের ভাণ্ডার।


ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব বর্ণনা কর।

উত্তর : ইন্টারনেট হলো তথ্যের বিশাল এক ভান্ডার এবং নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের তথ্য অন্যের কাছে তুলে ধরার জন্য তৈরি ব্যবস্থাটি হলো ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য যে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটা হলো ওয়েব ব্রাউজার। ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোকে ব্রাউজিং বলে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের পুরো জগৎকে উপভোগ করা যায়। ব্রাউজিং সফটওয়্যার ছাড়া ইন্টারনেটে ব্রাউজ করা যায় না। ব্রাউজারের মাধ্যমেই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব অপরিসীম।


নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানা জানা না থাকলে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে তা খুঁজে পাওয়া যায় এবং কিভাবে?

উত্তর : বিভিন্ন তথ্যসমূহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে উপস্থাপন করা হয়। আর ওয়েবসাইট সহজে খুঁজে পেতে বিশেষ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। আমরা যদি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানাটা না জানি তবে সার্চ ইঞ্জিনে কাঙ্ক্ষিত তথ্যের বিষয়বস্তু লিখে সার্চ দিয়ে এই বিষয়বস্তু সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ঠিকানা পাবো। সেখান থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটি বেছে নেব।


আশা করি পঞ্চম অধ্যায় : ইন্টারনেট পরিচিতি, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিএই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন