অ্যামপ্লিফায়ার কি? | অ্যামপ্লিফায়ার কত প্রকার? - বিস্তারিত

অ্যামপ্লিফায়ার কি? অ্যামপ্লিফায়ার কত প্রকার? :  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা অ্যামপ্লিফায়ার কি? অ্যামপ্লিফায়ার কত প্রকার? বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

অ্যামপ্লিফায়ার কি? অ্যামপ্লিফায়ার কত প্রকার?

অ্যামপ্লিফায়ার কি? অ্যামপ্লিফায়ার কত প্রকার?

অ্যামপ্লিফায়ার (Amplifier) হলো এমন একটি যন্ত্রাংশ যা বিভিন্ন কাজে তড়িৎ প্রবাহ ও ভোল্টেজকে বিবর্ধন করে। অ্যামপ্লিফায়ারে নেগেটিভ ফিডব্যাক ব্যবহার করা হয়। এ প্রকার ফিডব্যাক ডিজেনারেশনের সৃষ্টি করে বলে, তাকে আবার ডিজেনারেশন ফিডব্যাকও বলা হয়।


অ্যামপ্লিফায়ারের শ্রেণিবিভাগ 


১. কী পরিমাণ ভোল্টেজ বা কারেন্ট অ্যামপ্লিফিকেশন পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করে অ্যামপ্লিফায়ারকে দুইভাগে ভাগ করা যায়।

ক. ভোল্টেজ অ্যামপ্লিফায়ার;

খ. কারেন্ট অ্যামপ্লিফায়ার;


২. অ্যামপ্লিফায়ার যে ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ ব্যবহার করে এর উপর ভিত্তি করে অ্যামপ্লিফায়ারকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়।

ক. অভিও অ্যামপ্লিফায়ার

খ. ভিডিও অ্যামপ্লিফায়ার

গ. R-F অ্যামপ্লিফায়ার

ঘ. I-F অ্যামপ্লিফায়ার

ঙ. Push-Pull অ্যামপ্লিফায়ার

চ. বাফার অ্যামপ্লিফায়ার

ছ. প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার

জ. Emitter Follower অ্যামপ্লিফায়ার


৩. অ্যামপ্লিফায়ারের কার্যকর গুণাবলি উপর নির্ভর করে অ্যামপ্লিফায়ারকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়।

ক. ক্লাস এ অ্যামপ্লিফায়ার

খ. ক্লাস বি অ্যামপ্লিফায়ার

গ. ক্লাস সি অ্যামপ্লিফায়ার

ঘ. ক্লাস এবি অ্যামপ্লিফায়ার

ঙ. ক্লাস ডি অ্যামপ্লিফায়ার


প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার (Pre-amplifier)


প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার এমন একটি ইলেকট্রনিক্স সার্কিট যা লো-ভোল্টেজ সিগন্যালকে ডিস্টরশন ও নয়েজ ব্যতিরেকে ব্যবহার উপযোগী সুবিধাজনক মানে উন্নত করে।


প্রি-অ্যামপ্লিফায়ারের ব্যবহার :

(i) আর এফ ট্রান্সমিটারে

(ii) আর এফ অসিলেটরে

(iii) পিক-আপে

(iv) টোন কন্ট্রোলে

(v) মাইক্রোফোনে।


প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার এর প্রয়োজনীয়তা : বিভিন্ন ডিভাইসে লো-লেভেলের সিগন্যাল থাকে আর এর কারণে প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করে ভোল্টেজ গেইন এবং কারেন্ট গেইন বৃদ্ধি করে উক্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রি-অ্যামপ্লিফায়ার প্রয়োজন হয়।


অ্যামপ্লিফায়ারের গেইন, ডিস্টরশন ও ব্যান্ডউইথ কী?

গেইন : আউটপুট সিগন্যালের অ্যামপ্লিচুড ও ইনপুট সিগন্যালের অ্যামপ্লিচুডের অনুপাতকে বলা হয় অ্যামপ্লিফায়ারের গেইন। একে ডেসিবল এককে প্রকাশ করা হয়।


ডিস্টরশন : সিগন্যাল বিবর্ধনে বা ওয়েভ ফর্মের পরিবর্তনে যে অবাঞ্চিত পরিবর্তন দেখা যায় তাকে ডিস্টরশন বলে। সাধারণত তিনটি প্রধান ডিস্টরশন দেখা যায় ফ্রিকুয়েন্সি ডিস্টরশন, ফেজ ডিস্টরশন ও অ্যামপ্লিচুড ডিস্টরশন।


ব্যান্ডউইথ : ফ্রিকুয়েন্সি রেসপন্স কার্ভের যে ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জে অ্যামপ্লিফায়ারের গেইন সর্বোচ্চ (70.7 % বা এর বেশি) হয়, উক্ত রেঞ্জকে অর্থাৎ আপার ও লোয়ার কাট-অফ ফ্রিকুয়েন্সির পার্থক্যকে ব্যান্ডউইথ বলে।


আশা করি অ্যামপ্লিফায়ার কি? অ্যামপ্লিফায়ার কত প্রকার? এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন