অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প বা সূত্র- রসায়ন [Update]

অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প বা সূত্র: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প বা সূত্র বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ। 

তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই  কাঙ্খিত বিষয়টি।

অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প বা সূত্র

অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প বা সূত্র

1812 খ্রিস্টাব্দে ইতালিয় বিজ্ঞানী অ্যাভোগেড্রো গ্যাসের আয়তন (V) ও অনুর সংখ্যার (n) সাহায্যে একটি তত্ত্ব প্রদান করেন। যা অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প নামে পরিচিত।


 অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্পঃ 

একই তাপমাত্রা ও চাপে সকল মৌলিক ও যৌগিক গ্যাসের সমান আয়তনে অনুর সংখ্যা সমান থাকবে।

 যদি কোন গ্যাসের আয়তন V এবং অনুর সংখ্যা n হয় তবে গাণিতিক ভাবে লেখা যায়।

V α n (যেখানে T ও P স্থির)


ব্যাখ্যাঃ মনে করি, চারটি একই আয়তনের বেলুনে যথাক্রমে নাইট্রোজেন (N₂), হাইড্রোজেন(H₂), অক্সিজেন(O₂) ও হিলিয়াম(He) গ্যাস ভর্তি করা আছে। তাদের উপরে একই তাপমাত্রা ও চাপ বিদ্যামান আছে। তাহলে অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প অনুসারে যদি একটি বেলুনে n সংখ্যক নাইট্রোজেন গ্যাসের অণু বিদ্যমান থাকে, তবে অন্যান্য বেলুনেও যথাক্রমে n সংখ্যক হাইড্রোজেন অনু, n সংখ্যক অক্সিজেন অনু ও n সংখ্যক হিলিয়াম অনু বিদ্যমান থাকবে।


অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্পের গুরুত্ব ও প্রয়োগঃ 


অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প রসায়ন বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। নিচে এর গুরুত্ব ও প্রয়োগ সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো-


১. অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প সর্বপ্রথম অণু ধারণার প্রবর্তন করে এবং অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে।

২. ডাল্টনের পরমাণুবাদের তত্ত্বে যে ত্রুটি ছিল তার প্রধান অংশের ত্রুটি দূর করা যায়।

৩. ডাল্টনের পরমাণুবাদ ও গে-লুসাকের গ্যাস আয়তন সূত্রের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি করে।  

৪. অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পের দ্বারা সঠিকভাবে রাসায়নিক বিক্রিয়া সমীকরণের দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।

৫. এ প্রকল্পের সাহায্যে যে কোন গ্যাসের সংযুতি এবং বাষ্প ঘনত্ব হতে গ্যাসটির আণবিক সংকেত নির্ণয় করা যায়।

৬. প্রকল্পটির সাহায্যে মৌলের পারমাণবিক ভর এবং যৌগের ক্ষেত্রে আণবিক ভর নির্ণয়ের একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

অ্যাভোগেড্রো প্রকল্পের সিদ্ধান্তসমূহ


 অ্যাভোগাড্রো প্রকল্পের সাহায্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। সিদ্ধান্তগুলি নিম্নরূপঃ


১. নিষ্ক্রিয় গ্যাস ব্যতীত অন্যান্য সকল মৌলিক গ্যাসের অনু সমূহ দ্বিপরমাণুক। অর্থাৎ তাদের অণুতে দুটি করে পরমাণু বিদ্যমান থাকবে। 

যেমনঃ H₂ ,N₂ ,O₂ ,F₂ ইত্যাদি।


২. যে কোন গ্যাসের আণবিক ভর তার বাষ্প ঘনত্বের দ্বিগুন।

৩. একই তাপমাত্রা ও চাপে সকল গ্যাসের মোলার আয়তন সমান এবং প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে তা 

22.4 লিটার।

বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে অ্যাভোগেড্রোর প্রকল্প বা সূত্র বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন