তাপহারী ও তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু। আমি জানি তোমরা “তাপহারী ও তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ।
তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কাঙ্খিত বিষয়টি।
তাপহারী ও তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য
বিক্রিয়া তাপের উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথাঃ তাপোৎপাদী ও তাপহারী।
তাপোৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
১. যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তির শোষণ এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস পায় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।
অপরদিকে যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে।
২. তাপহারী বিক্রিয়ায় উৎপাদের মোট এনথালপি বিক্রিয়কের মোট এনথালপি অপেক্ষা বেশি হয়।
কিন্তু তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় উৎপাদের মোট এনথালপি বিক্রিয়কের মোট এনথালপি অপেক্ষা কম হয়।
৩. তাপহারী বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ এবং ΔH এর মান ধনাত্মক হয়।
কিন্তু তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় এবং ΔH এর মান ঋণাত্মক হয়।
বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে তাপহারী ও তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। “ধন্যবাদ”