দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান- বিস্তারিত

দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান

দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান

দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান
ভরবেগ কোন রাশি?

উত্তরঃ ভরবেগ একটি ভেক্টর রাশি।


বল কী রাশি?

উত্তরঃ বল ভেক্টর রাশি।


ভর কী ধরনের রাশি?

উত্তরঃ ভর একটি স্কেলার রাশি।


সবচেয়ে শক্তিশালী বল কোনটি?

উত্তরঃ নিউক্লিয় বল।


শুধু আকর্ষণধর্মী বল কোনটি?

উত্তরঃ শুধু আকর্ষণধর্মী বল হলো মাধ্যাকর্ষণ বল।


বল কী?

উত্তরঃ কোনো বস্তুর উপর অন্য বস্তুর ধাক্কা বা টানাই হচ্ছে বল।


নিউটনের তৃতীয় সূত্র কী?

উত্তরঃ নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি হলো- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।


স্পর্শ বল কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বল কেবল দুটি বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে এসে পরস্পরের ওপর ক্রিয়া করে তাকে স্পর্শ বল বলে।


অভিকর্ষ বল কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বলে তার নিজের দিকে টানে বা আকর্ষণ করে তাকে অভিকর্ষ বল বলে।


বস্তুর জড়তা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম, তাই জড়তা। স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা স্থিতি বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে স্থিতি জড়তা এবং গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলা হয়।

স্থিতি জড়তা ও গতি জড়তা কাকে বলে?

উত্তরঃ স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা স্থিতি বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম, তাকে স্থিতি জড়তা এবং গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলে।


অস্পর্শ বল বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই যে বল ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে। যেমন দুটি বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণমূলক মহাকর্ষ বল, দুটি আহিত বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণকারী তড়িৎ বল, দুটি চুম্বকের মেরুর মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণমূলক বল অথবা একটি চুম্বক ও একটি চৌম্বক পদার্থের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বল হলো অস্পর্শ বল তথা দূরবর্তী বলের উদাহরণ।


বল বস্তুর গতির উপর কী প্রভাব ফেলে তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বল কোনো স্থির বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয়ে তাতে গতির সৃষ্টি করে বা করতে চায়। এছাড়া কোনো গতিশীল বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করা হলে তার গতির পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ, বল গতিবেগের মান অথবা দিক অথবা উভয়ের পরিবর্তন ঘটায়।


অভিকর্ষ বল একটি অস্পর্শ বল ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পৃথিবী এবং অন্য কোনো বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল বলকে অভিকর্ষ বল বলে। কোনো বস্তুকে পৃথিবী আকর্ষণ করলে তাদের মধ্যে কোনো স্পর্শ থাকে না। যে সব বল দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই ক্রিয়া করে, তাদেরকে অস্পর্শ বল বলে। অভিকর্ষ বলের ক্ষেত্রে পৃথিবী এবং অন্য কোনো বস্তুর মধ্যে সরাসরি সংস্পর্শ ঘটে না। তাই অভিকর্ষ বল একটি অস্পর্শ বল।


পরমাণুতে কী ধরনের বল ক্রিয়া করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পরমাণুতে তড়িত চৌম্বক বল ক্রিয়া করে। পরমাণুর অভ্যন্তরে থাকে নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে কতগুলো বৃত্তাকার পথে ঘোরে ইলেকট্রন। নিউক্লিয়াস ধনাত্মক চার্জযুক্ত এবং ইলেকট্রনসমূহ ঋণাত্মক চার্জযুক্ত হওয়ায় এদের মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণ বল কাজ করে। দুটি চার্জযুক্ত কণিকার মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে তড়িত চৌম্বক বল বলে। তাই বলা যায়, পরমাণুতে তাড়িত চৌম্বক বল ক্রিয়া করে।


ঘর্ষণ কমানোর উপায় কী কী?

উত্তরঃ ঘর্ষণ কমানোর উপায়গুলো নিম্নরূপ-

  • কোনো তলকে খুব মসৃণ করে ঘর্ষণ কমানো হয়।
  • যন্ত্রপাতির গতিশীল অংশগুলো তেল বা গ্রিজ দ্বারা আবৃত করে ঘর্ষণ কমানো যায়।
  • কোনো তলের উপর দিয়ে একটি বস্তুকে পিছলে নেওয়ার চেয়ে গড়িয়ে নিলে ঘর্ষণ কমানো যায়।


চলন্ত গাড়ী হঠাৎ থেমে গেলে আমরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ি কেন?

উত্তরঃ আমাদের শরীরের নিচের অংশ গাড়ীর সীট ও মেঝের সাথে সংলগ্ন ও সংস্পর্শে থাকে বিধায়, চলন্ত গাড়ী হঠাৎ থেমে গেলে দেহের এ অংশগুলো স্থির হয়ে যায়। তবে দেহের উপরের অংশগুলো মেটামুটি সংস্পর্শবিহীন থাকে বিধায় চলন্ত গাড়ী হঠাৎ ব্রেক কষলে আমরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ি।


স্থিতি ও গতির দুইটি পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ স্থিতি ও গতির দুইটি পার্থক্য হলো—

স্থিতি

  • কোনো বস্তুর স্থির অবস্থান বা অপরিবর্তিত অবস্থানকে স্থিতি বলে।
  • স্থির বস্তু স্থিতি জড়তা দেখায়।

গতি

  • কোনো বস্তুর চলমান অবস্থা বা অবস্থান পরিবর্তনের অবস্থাকে গতি বলে।
  • গতিশীল বস্তু গতি জড়তা দেখায়।
নিউটনের ২য় সূত্র থেকে কীভাবে বলের পরিমাপ করা যায়?
উত্তরঃ নিউটনের ২য় সূত্রটি হলো—
বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। এই সূত্র থেকে বলের পরিমাণ নিম্নোক্তভাবে বের করা যায়-
বস্তুর ভরবেগ হলো, ভর x বেগ
ভরবেগের পরিবর্তনের হার = ভর x বেগের পরিবর্তনের হার
= ভর x ত্বরণ
সুতরাং ২য় সূত্র থেকে আমরা পাই, বল = ভর x ত্বরণ
উক্ত সূত্রের সাহায্য বলের পরিমাপ করা যায়।

আশা করি দশম অধ্যায় : এসো বলকে জানি, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানএই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন