সাধু ভাষারীতি ও চলিত ভাষারীতি বলতে কী বোঝায়?: আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা “সাধু ভাষারীতি ও চলিত ভাষারীতি বলতে কী বোঝায়?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন।
এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।
সাধু ভাষারীতি
যে ভাষারীতিতে তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি এবং ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়, তাকে সাধু ভাষারীতি বলে। যেমন : করিয়াছি, খাইয়াছি, তাহারা, তাহাদের ইত্যাদি। সাধু ভাষারীতি শুধু লেখার কাজে ব্যবহৃত হয় বলে একে লেখ্য ভাষা বলা হয়।
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্যঃ
- সাধু ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম মেনে চলে।
- সাধু ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
- সাধু ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনামের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ করিয়াছি, করিতেছি, তাহারা, যাহারা ইত্যাদি।
- সাধু ভাষারীতিতে অব্যয়ের তৎসমরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ অদ্য, বরাত ইত্যাদি।
- সাধু ভাষারীতি তৎসম শব্দবহুল এবং গুরুগম্ভীর।
চলিত ভাষারীতি
যে ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়, তাকে চলিত ভাষারীতি বলে। যেমনঃ করেছি, খেয়েছি, তারা, তাদের ইত্যাদি। প্রমিত কথ্য ভাষারীতি অবলম্বনে গড়ে ওঠা একটি রীতি হলো চলিত ভাষারীতি।
চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্যঃ
- চলিত ভাষারীতি সব সময় ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম মেনে চলে না।
- চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল এবং পদবিন্যাস সুনির্দিষ্ট নয়।
- চলিত ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ করেছি, করছি, তারা, যারা ইত্যাদি।
- চলিত ভাষারীতিতে অব্যয়ের তদ্ভব রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ আজ, বরং ইত্যাদি।
- চলিত ভাষারীতিতে তদ্ভব শব্দবহুল এবং উচ্চারণ হালকা।
- চলিত ভাষারীতি আধুনিক।
আশা করি “সাধু ভাষারীতি ও চলিত ভাষারীতি বলতে কী বোঝায়?”এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"