শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? | নাসার ও নাসাপথ বলতে কী বোঝায়?- বিস্তারিত

শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? নাসার ও নাসাপথ বলতে কী বোঝায়?:  আসসালামু আলাইকুম, আমি জানি আপনারা শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? নাসার ও নাসাপথ বলতে কী বোঝায়? বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? নাসার ও নাসাপথ বলতে কী বোঝায়?

শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? 

যে অঙ্গগুলোর সাহায্যে শ্বাসকার্য পরিচালিত হয়, সেগুলোকে একসাথে শ্বসনতন্ত্র বলে। মানব শ্বসনতন্ত্র নিম্নলিখিত অঙ্গগুলো নিয়ে গঠিত।


  1. নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ;
  2. নাসা গলবিল;
  3. স্বরযন্ত্র
  4. শ্বাসনালি বা ট্রাকিয়া;
  5. ক্লোম শাখা বা ব্রঙ্কাস;
  6. ফুসফুস;
  7. মধ্যচ্ছদা।

নাসার ও নাসাপথ বলতে কী বোঝায়?

শ্বসনতন্ত্রের প্রথম অংশের নাম নাসিকা বা নাক। এটা মুখগহ্বরের উপরে অবস্থিত একটি ত্রিকোণাকার গহ্বর। নাক বা নাসিকার সাহায্যে কোনো বস্তুর সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ বুঝা যায়। এক বিশেষ ধরনের স্নায়ু এই অঙ্গকে উদ্দীপিত করে, ফলে আমরা গন্ধ পাই। নাসিকা এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছে যে সেটি প্রশ্বাসের সময় বাতাসকে ফুসফুসের গ্রহণের উপযোগী করে দেয়।

নাসাপথ সামনে নাসিকাছিদ্র এবং পিছনে গলবিল পর্যন্ত বিস্তৃত। একটি পাতলা প্রাচীর দিয়ে এটি দুই ভাগে বিভক্ত। এর সামনের অংশ লোমাবৃত এবং পিছনের অংশ শ্লেষ্মা প্রস্তুতকারী একটি পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত। আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বায়ুতে বিদ্যমান ধূলিকণা, রোগজীবাণু এবং আবর্জনা থাকলে তা এই লোম এবং পর্দাতে আটকে যায়। এতে বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করার পূর্বে কিছু পরিমাণে নির্মল হয়ে যায়। 

এছাড়া শ্বসনের জন্য গ্রহণ করা বায়ু নাসাপথ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা উষ্ণ এবং আর্দ্র হয়। এর ফলে হঠাৎ ঠাণ্ডা বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে সাধারণত কোনো প্রকার ক্ষতি করতে পারে না।

আশা করি শ্বসনতন্ত্র কাকে বলে? নাসার ও নাসাপথ বলতে কী বোঝায়?এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা উপকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। "ধন্যবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন