আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন- রসায়ন [২০২৩]

আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন:  আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু।  আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রসায়ন এর বিষয়। আমি জানি আপনারা “আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। তাই আপনাদের আপু, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই বিষয়টি।

আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন

আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন

আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন প্রণালী নিম্নরূপঃ 


জিংক ব্লেন্ড (ZnS) অথবা ক্যালামাইন (ZnCO₃) আকরিক থেকে জিংক নিষ্কাশন করা হয়। প্রথমে ক্যালামাইন অথবা জিংক ব্লেন্ডকে বাতাসে তাপ জারিত করা হয়। ফলে জিংক অক্সাইড উৎপন্ন হয়।


ZnCO₃ ------> ZnO + CO₂

ZnS + O₂ ------> ZnO + SO₂

 

জিংক অক্সাইডকে কোক কার্বন এর সাথে মিশ্রিত সিনামাটির তৈরি রিটর্টে  নেওয়া হয়। রিটর্টের মুখে চীনামাটির তৈরি একটি গ্রাহক শীতক ও শীতকের অপরপ্রান্তে লোহার তৈরি প্রলং নামক শীতকজুড়ে দেওয়া হয়। গ্রাহক শীতকে জিংক বাষ্প প্রলং শীতকে ঘনীভূত হয়ে জমা হয়। 

জিংক অক্সাইড ও কোক কার্বন মিশ্রণকে জ্বালানি গ্যাসের সাহায্যে  1350 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় 24 ঘন্টা যাবত উত্তপ্ত করা হয়।  জিংক অক্সাইড কার্বন দ্বারা বিজারিত হয়ে জিংক বাষ্পে পরিণত হয় এবং উৎপন্ন কার্বন মনোক্সাইড (CO) গ্যাস প্রলং শীতকের মুখে শিখাসহ জলে ওঠে। 

ZnO + C ------> Zn + CO

উৎপন্ন জিংক বাষ্প গ্রাহক শীতকে প্রবেশ করে এবং অধিকাংশ ঘনীভূত হয়ে তরল জিংক রূপে চীনামাটির তৈরি গ্রাহক শীতকে জমা হয়। কিছু জিংক বাষ্প রিটর্টে উপস্থিত অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে জিংক অক্সাইড উৎপন্ন করে। উৎপন্ন জিংক অক্সাইড ও অবশিষ্ট জিংক বাষ্প ঘনীভূত হয়ে প্রললং শীতকে জমা হয়। এ মিশ্রণকে জিংক ডাস্ট বলে। 

এভাবে উৎপন্ন অবিশুদ্ধ জিংকে 97% থেকে 98% জিংক থাকে। এ অবিশুদ্ধ জিংকে স্পেল্টার বলে। স্পেল্টারকে তড়িৎ বিশোধন প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ জিংক প্রস্তুত করা হয়।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে আকরিক থেকে জিংক ধাতু নিষ্কাশন বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হন, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন