অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর - রসায়ন [২০২৩]

অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর:  আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু।  আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রসায়ন এর বিষয়। আমি জানি আপনারা “অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। তাই আপনাদের আপু, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই বিষয়টি।

অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর - রসায়ন [২০২৩]

অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর

মূলনীতিঃ উচ্চ তাপমাত্রায় ও উচ্চচাপে 1 মোল নাইট্রোজেন(N₂) গ্যাস ও 3 মোল হাইড্রোজেন(H₂) গ্যাস বিক্রিয়া করে 2 মোল অ্যামোনিয়া(NH₃) গ্যাস উৎপন্ন হয়। 

N₂(g) + 3H₂(g) <-----> 2NH₃ (g)

+ 92kj/mol


বিক্রিয়াটি উভমুখী, তাপ উৎপাদী এবং আয়তন সংকোচনের মাধ্যমে ঘটে। 


উৎপাদন প্রণালীর বর্ণনাঃ বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের ১ঃ৩ আয়তনে মিশ্রিত করে 550 ডিগ্রি সেলসিয়াস অত্যানুকুল তাপমাত্রা, 200 বায়ুমন্ডলীয় অত্যানুকুল চাপে, লৌহচূর্ণ (Fe) প্রভাবক ও মলিবডেনাম (Mo) সহায়ক প্রভাবক সম্বলিত প্রকোষ্ঠে চালনা করা হয়। এতে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন এর 15% - 20% যুক্ত হয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন করে। 

উৎপন্ন অ্যামোনিয়া ও অপরিবর্তিত নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন মিশ্রণকে শীতল কুন্ডলীতে চালনা কর হয়। ফলে অ্যামোনিয়া গ্যাস তরলীভূত হয়ে তরল অ্যামোনিয়া পাত্রে জমা হয়। কিন্তু অবশিষ্ট অপরিবর্তিত নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাসকে পুনরায় পেষণ যন্ত্রে সরবরাহ করা হয় এবং নতুন গ্যাস মিশনসহ পুনরায়  অ্যামোনিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এভাবে প্রক্রিয়াটি অবিরত চলতে থাকে।

অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর - রসায়ন [২০২৩]


আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে অ্যামোনিয়ার শিল্পোৎপাদনে হেবার প্রণালী মূলনীতি সহ বর্ণনা কর বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন