মেজারিং বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি- রসায়ন [২০২৩]

মেজারিং বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি: আসসালামু আলাইকুম, আমি মিমিয়া, আমি তোমাদের chemistry আপু।  আজকে তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রসায়ন এর বিষয়। 

আমি জানি তোমরা মেজারিং বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করেছ। তাই তোমাদের আপু, তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছে এই  কাঙ্খিত বিষয়টি।

মেজারিং বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি

মেজারিং বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি

পরীক্ষাগারে নির্দিষ্ট ঘনমাত্রার বিভিন্ন আয়তনের প্রমাণ দ্রবণ তৈরি করার জন্য মেজারিং ফ্লাস্ক ব্যবহার করা হয়। 

মেজারিং ফ্লাক্সগুলো বোরো সিলিকেট কাঁচের তৈরি হয়। 

মেজারিং ফ্লাক্স ব্যবহারের পূর্বে এটিকে ভালো করে সাবান পানি দিয়ে ধৌত করার পর, পাতিত পানি দ্বারা একবার ধুয়ে নিতে হবে। মেজারিং ফ্লাক্সের মুখে ফানেল বসিয়ে প্রমাণ দ্রবণের নমুনাকে ফানেলের উপর ঢেলে দিতে হবে। এরপর ওয়াশ বোতল হতে পাতিত পানি দ্বারা ফানেল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। যেন সমস্ত নমুনা মেজারিং ফ্লাক্সে প্রবেশ করে। এরপর মেজারিং ফ্লাক্সে সামান্য পাতিত পানি যোগ করে ফ্লাক্সের মুখ গ্লাস টপার দিয়ে বন্ধ করে সামান্য ঝাঁকাতে হবে। যেন সমস্ত নমুনাটি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়।

এরপর নির্দিষ্ট আয়তনের দ্রবণ তৈরি করার জন্য প্রথমে মেজারিং ফ্লাক্সের সরু গলায় যে গোলাকার দাগ থাকে তার কিছু কম পানি নিতে হবে। তারপর গোলাকার দাগটি চোখ বরাবর রেখে ওয়াশ বোতল থেকে এক ফোঁটা এক ফোঁটা করে পানি মেজারিং ফ্লাক্সে যোগ করব। যেন মেজারিং ফ্লাক্সের গোলাকার দাগ এবং পানির Lower meniscus স্পর্শ করে। 

এভাবে মেজারিং ফ্লাক্স বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্স দ্বারা নির্দিষ্ট আয়তনের তরল নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায়।


আশা করি এই পোস্টটি তোমাদের অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে মেজারিং বা আয়তনমিতিক ফ্লাক্সের ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়টিও তোমরা বুঝতে পেরেছ। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হও, তাহলে তোমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবে না। ধন্যবাদ”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন