প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা [2023]

প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা


প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা


প্রশ্ন-১। FAO এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ FAO এর পূর্ণরূপ হলো– Food and Agriculture Organization.

প্রশ্ন-২। IPM এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ IPM এর পূর্ণরূপ হলো— Integrated Pest Management.

প্রশ্ন-৩। IRRI এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ IRRI এর পূর্ণরূপ হলো- International Rice Research Institute.

প্রশ্ন-৪। বাংলাদেশের কৃষির প্রধান সমস্যা কতটি?

উত্তরঃ ৪।

প্রশ্ন-৫। বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহনশীল উদ্ভাবিত ধান কোনটি?

উত্তরঃ ব্রি ধান ৫৬।

প্রশ্ন-৬। পূর্ববাংলায় কৃষির আধুনিকায়ন শুরু হয় কখন?

উত্তরঃ পূর্ববাংলায় কৃষির আধুনিকায়ন শুরু হয় গত শতকের ষাটের দশকে।

প্রশ্ন-৭। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড কী?

উত্তরঃ বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো কৃষি।

প্রশ্ন-৮। কোন দেশগুলো কৃষিকে শিল্পে পরিণত করেছে?

উত্তরঃ চীন, ভারত, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশ কৃষিকে শিল্পে পরিণত করেছে।

প্রশ্ন-৯। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সংক্ষেপে কী বলে?

উত্তরঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সংক্ষেপে BRRI বলে।

প্রশ্ন-১০। ভিয়েতনামের কৃষি সমবায় সংগঠনগুলো স্থানীয় সরকারের বাৎসরিক ব্যয়ের কতভাগ যোগান দেয়?

উত্তরঃ ৫০%।

প্রশ্ন-১১। ই-কৃষি কি?

উত্তরঃ ই-কৃষি হলো ইলেক্ট্রনিক্সভিত্তিক কৃষি তথ্য প্রদান কার্যক্রম।

প্রশ্ন-১২। জীব কৌশল কাকে বলে?

উত্তরঃ সংকরায়নের মাধ্যমে ফসলের কাঙ্ক্ষিত জিনগত বিন্যাসের পরিবর্তন আনাকেই জীব কৌশল বলে।

প্রশ্ন-১৩। মৌসুম নির্ভরশীলতা কী?

উত্তরঃ ফসলের নির্দিষ্ট কোনো মৌসুমের দিবা দৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীলতাই হলো মৌসুম নির্ভরশীলতা।


প্রশ্ন-১৪। সার কাকে বলে?

উত্তরঃ মাটিতে পুষ্টি উপাদান সরবরাহকারী দ্রব্যকে সার বলে।

 

প্রশ্ন-১৫। ফসল কাকে বলে?

উত্তরঃ মানুষ তার প্রয়োজনে যেসব উদ্ভিদ চাষ করে অর্থাৎ অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদকে ফসল বলে।

 

প্রশ্ন-১৬। কৃষি প্রধান দেশ কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল দেশের অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশকে কৃষি প্রধান দেশ বলে।

 

প্রশ্ন-১৭। BRRI এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ BRRI এর পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Rice Research Institute.

 

প্রশ্ন-১৮। কৃষি কী?

উত্তরঃ ফসল উৎপাদন, পশুপাখি পালন ও মাছ চাষ এবং বনায়নের জন্য মাটির জৈবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাই হলো কৃষি।

 

প্রশ্ন-১৯। ‘হাইব্রিড ধান’ কাকে বলে?

উত্তরঃ সংকরায়নের ফলে উদ্ভাবিত ধান যেগুলো প্রচলিত উচ্চ ফলনশীল ধানের চেয়েও বেশি ফলন দেয় সেগুলোকে ‘হাইব্রিড ধান’ বলে।

 

প্রশ্ন-২০। বায়োটেকনোলজি কী?

উত্তরঃ সংকরায়ণের মাধ্যমে ফসলের কাক্ষিত জিনগত বিন্যাসের পরিবর্তন আনাই হলো বায়োটেকনোলজি।

 

প্রশ্ন-২১। জেনেটিক্যাল মডিফাইড ক্রপ কাকে বলে?

উত্তরঃ সংকরায়ন ও ক্রমাগত নির্বাচনের মাধ্যমে ফসলের বংশগতি পরিবর্তন করে যে নতুন ফসল উৎপাদন করা হয় তাকে জিএম ফসল বা জেনিটিক্যাল মডিফাইড ক্রপ বলে।

 

প্রশ্ন-২২। মাটি কৃষির প্রধান ক্ষেত্র কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মাটি হলো ফসল উৎপাদনের মাধ্যম। কারণ মাটির গঠন, প্রকারভেদ, উর্বরতা, মাটিতে বসবাসকারী অণুজীব ফসল উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। এর ওপর ভিত্তি করে কৃষির সব প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। তাই মাটিকে কৃষির ক্ষেত্র বলে।

 

প্রশ্ন-২৩। বাংলাদেশের কৃষিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তরঃ বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে কৃষিবিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষকগণ গবেষণাও করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা কৃষকদের অবহিত করেন। ফলে দেশের কৃষি উৎপাদনে দ্রুত অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। তাই কৃষিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রশ্ন-২৪। চীন কৃষিতে উন্নত কেন?

উত্তরঃ চীন কৃষিতে উন্নত কারণ তারা ফসলের বংশগতির পরিবর্তন এমনভাবে ঘটাতে সক্ষম হয়েছে যে, তাদের অধিকাংশ ফসলের জাত আর মৌসুমনির্ভর নেই। যেমন— ধানের ক্ষেত্রে সুপার হাইব্রিড জাত ব্যবহার করছে। এই জাতগুলো পূর্বের প্রচলিত জাতগুলোর চাইতে হেক্টর প্রতি সাতগুণ পর্যন্ত ফলন দিচ্ছে।

প্রশ্ন-২৫। কৃষিশিক্ষা কাকে বলে?

উত্তরঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় ফসল, পশু, মাছ, হাঁস-মুরগি, বৃক্ষ ইত্যাদি বিষয়ে যাবতীয় শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা হয় তাকে কৃষিশিক্ষা বলে।

 

প্রশ্ন-২৬। গ্রিন হাউস কাকে বলে?

উত্তরঃ বদ্ধ কাঁচের ঘরে কৃত্রিম উপায়ে ফসলের উপযুক্ত দিবস দৈর্ঘ্য, পর্যাপ্ত আলো, উত্তাপ, বায়ুর আর্দ্রতাসহ পরিবেশগত যাবতীয় উপাদান সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন করাকে গ্রিন হাউস বলে।

 

প্রশ্ন-২৭। ফসলের আগাম জাত চাষ করা হয় কেন?

উত্তরঃ অসময়ে ফল ও সবজি বাজারে সরবরাহের উপায় কম থাকে বলে আগাম জাত চাষ করা হয়। অসময়ে এসব ফসলের চাহিদা বেশি থাকে বলে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যায়, যার ফলে কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হয়।

 

প্রশ্ন-২৮। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ আধুনিক কৃষিতে পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর থেকে শুরু করে বহু ধরনের যন্ত্রপাতি ফসল উৎপাদন, পশু-পাখি পালন, মৎস্য চাষ তথা সার্বিক কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক কৃষিতে ফলন বৃদ্ধির জন্য ও উৎপাদন সহজতর করার জন্য এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। কৃষির আধুনিকায়নের জন্যই কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন।

 

প্রশ্ন-২৯। কৃত্রিম রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর একটি উপায় ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কৃত্রিম রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর একটি উপায় হলো অণুজীব সার প্রয়োগ। এ ধরনের সার প্রয়োগে মাটির উর্বরতা বাড়ে, মাটিস্থ ফসফেট দ্রবীভূত হয়ে ফসলের গ্রহণোপযোগী হয়। সর্বোপরি ফসলের ফলন ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।


প্রশ্ন-৩০। ভিয়েতনামের কৃষির উন্নতির কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভিয়েতনামের কৃষক সমাজ অত্যন্ত সংগঠিত। ভিয়েতনামের কৃষি সমবায় সংগঠনগুলোও অত্যন্ত শক্তিশালী ও সৃজনশীল। এরা এতো শক্তিশালী যে এরা স্থানীয় সরকারের বাৎসরিক ব্যয়ের অন্তত ৫০% যোগান দিয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তারা আর্থিক সহায়তা দেয়। এই সকল সংগঠন কৃষিনীতি ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করে ভিয়েতনামের কৃষির উন্নতি ঘটায়।


প্রশ্ন-৩১। উদ্ভিদের অঙ্গকে বীজ হিসেবে ব্যবহার করা সুবিধাজনক কেন?

উত্তরঃ উদ্ভিদের উপযুক্ত অঙ্গ বীজ হিসেবে ব্যবহার করলে মাতৃগাছের সকল গুণাগুণসম্পন্ন হুবহু গাছ পাওয়া যায়। পরাগায়ন বা নিষেকের মাধ্যমে পিতৃগুণাগুণ যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই উদ্ভিদের অঙ্গকে বীজ হিসেবে ব্যবহার করা সুবিধাজনক।


প্রশ্ন-৩২। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো কৃষি। ফসল, পশুপাখি, মাছ চাষ ও বন তৈরি করতে মাটির জৈবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাকে কৃষি বলা হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের পেশা হলো কৃষি। বর্তমানে কৃষিতে বিভিন্ন উচ্চফলনশীল ফসল, পশুজাত দ্রব্যাদি তথা ডিম, দুধ, মাংস, চামড়ার অধিক উৎপাদন ও আয়বৃদ্ধি গ্রামীণ জীবনে ব্যাপক বিস্তার ঘটায়। ফলে জনজীবনের পরিবর্তন তথা অগ্রগতি ঘটেছে।


প্রশ্ন-৩৩। গ্রিন হাউসে ফসলের রোগবালাই কম হয় কেন?

উত্তরঃ গ্রিন হাউসে ফসলের রোগবালাই কম হয়। কারণ এ পদ্ধতিতে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, দিবাদৈর্ঘ্য ইত্যাদিসহ পরিবেশগত যাবতীয় উপাদান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় সুষম পুষ্টি সরবরাহ করার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়। এতে ফসলও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।


প্রশ্ন-৩৪। আদি কৃষির উৎপত্তি সাধারণ মানুষের হাতেই– ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ প্রাচীনকালে মানুষ ফলমূল আহরণ ও পশু শিকার করে খাদ্য চাহিদা পূরণ করত। যখন তারা দেখল বীজ থেকে নতুন চারা গজাচ্ছে তখন তাদের মনে নতুন চিন্তার আবির্ভাব ঘটে। ধীরে ধীরে তা বিকশিত হয়ে কৃষির নিত্যনতুন পন্থা আবিষ্কৃত হতে থাকে। এরপর মানুষ খাবার দীর্ঘদিন সংগ্রহ করে রাখার প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠে। তাই বলা যায়, আদি কৃষির উৎপত্তি সাধারণত মানুষের হাতেই।


প্রশ্ন-৩৫। IPM এ কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে কেন?

উত্তরঃ কৃত্রিম রাসায়নিক বালাইনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য এবং কৃষিকে অধিকতর পরিবেশবান্ধব করার জন্য সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM) কার্যক্রমে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।


আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে প্রথম অধ্যায় : বাংলাদেশের কৃষি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন