আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হবেন? [2023]

আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হবেন?:  আসসালামু আলাইকুম, আমি লিছা, আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমি জানি আপনারা “আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হবেন?” বিষয়ে ধারণা নিতে অনলাইনে সার্চ করছেন। 

তাহলে আপনি এখন সঠিক পোস্ট এ আছেন। এখানে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন। তো আসুন আমরা জেনে নিই।

আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হবেন?

আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হবেন?

আউটসোর্সিং শব্দটি এখন আর নতুন কোনো শব্দ নয়। আমাদের দেশের অনেক তরুণ-তরুণী এখন আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। 

অনেকেই আউটসোর্সিং করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ও বন্ধুদের মাধ্যমে কিছু শিখে এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, তবে শুধু আপওয়ার্কে বা অন্য কোনো মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুললেই কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। 

অ্যাকাউন্ট খোলাটা কাজ শুরুর প্রাথমিক অবস্থা ছাড়া অন্য কিছু নয়। আগের পর্বগুলোতে গ্রাফিক্স, প্রোগ্রামার, ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসহ অনেক বিষয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

এবারের পর্বে আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং

জনসংখ্যা হলো একটি দেশের শক্তি-ভিত্তি। জনসংখ্যা কোনো দেশের জন্য বোঝা নয়। 

জনবলের ওপরই একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নতি নির্ভর করে। এর বিপরীতে আমাদের দেশে এখন লাখো বেকার হন্যে হয়ে কাজের সুযোগ খুঁজছে। 

এই বিপুল জনসাধারণকে কাজ দিতে না পারলে এই কর্মক্ষম লোকগুলো আমাদের জন্য সম্ভাবনা না হয়ে বরং বোঝা হয়ে যাবে। যারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-- জড়িত হবে অনেকটা বাধ্য হয়ে। 

চীনের বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনগণ আত্মনির্ভরশীল। 

সফলতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো চীন। এর প্রধান এবং মূল কারণ হলো এরা কর্মক্ষম, এদের দেশের সরকার বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতনের ওপরে নির্ভরশীল নয়। বেশিরভাগ মানুষ এক-একজন ছোট ছোট উদ্যোক্তা। 

আমাদের বাংলাদেশও একটি জনবহুল দেশ। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ইতিবাচক দিক। কিন্তু সেই ইতিবাচক দিকটির উপযুক্ত ব্যবহার করতে আমরা পারছি না। 

আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় আমরা পড়াশোনা, খেলাধুলা করে কাটাই। কিন্তু এরপর একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে আমরা পরনির্ভরশীল হয়ে তাকিয়ে থাকি সরকারি চাকরির আশায়। 

আমাদের দেশ একজন শিক্ষিত ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। দেশের একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আপনাকে হতে হবে একজন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা।

অনেকের মতে, সামাজিক মর্যাদা কম এই পেশায় যারা ভালো করছে তারা এই বাধাকে অতিক্রম করতে পেরেছে। 

অনেকেই বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে খুঁজে পান না। কারণ, অভিভাবকেরা চান একটি নিশ্চিন্ত পেশা। কিছু দিন আগে ডোলেন্সার বা স্কাইলেন্সারের মতো প্রতারণামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো এই শিল্পে সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভব তৈরি করেছে।

এর প্রধান কারণ হলো আমাদের অজ্ঞতা বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার না হয়েই আমরা কাজে নেমে যাই, যার পরিণাম কখনই ভালো হয় না।

যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়

আউটসোর্সিং করতে হলে আপনাকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে এমন কোনো কথা নয়। একটি নির্দিষ্ট কাজে নিজেকে পারদর্শী হতে হবে, হতে পারে আপনি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার, খুব ভালো প্রোগ্রামিংয়ের কাজ পারেন বা হতে পারে আপনি ভালো মার্কেটিং করতে পারেন এভাবে কোনো একটা কাজে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। 

আর সাথে কমপিউটারের কিছু সাধারণ জ্ঞান থাকলেই আউটসোর্সিং শুরু করা যায়। 

অনেকে ভার্চুয়াল অফিস করেন, যেমন ই-মেইল চেক করা, রিপ্লাই দেয়া, কোনো কিছু ড্রাফট করা, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, অনেকটা ভার্চুয়াল এক্সিকিউটিভ হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা। 

কোন কাজের কী যোগ্যতা?

নির্দিষ্ট একটি কাজে নিজেকে তৈরি করতে হবে। যেমন- কেউ প্রোগ্রামিংয়ে ভালো হলে তাকে অবশ্যই প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ক্লায়েন্ট কাজ দেয়ার আগে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে কাজ দেবে। 

তাই নিজেকে তুলে ধরার জন্য আপনাকে থাকতে হবে ওই বিষয়ের ওপর দক্ষ। ডিজাইনারদের জন্য একটি ভালো মানের পোর্টফোলিও বা কাজের নমুনা থাকাটা খুব জরুরি।

কাজ পাবেন যেখানে

নিচে বেশ কয়টি ওয়েব অ্যাড্রেস উল্লেখ করা হলো। এগুলো বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা অনেক ভালো করছে।

  • www.upwork.com
  • www.Freelancer.com
  • www.fiverr.com
  • www.Elance.com
  • www.peopleperhour.com
  • www.ThemeForest.net

আরও অনেক মার্কেটপ্লেস আছে, যেগুলোতে গিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।

ইন্টারভিউ যেভাবে নেয়া হয়

ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য স্কাইপ বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করে। কাজ দেয়ার আগে ক্লায়েন্ট অনেক সময় ইন্টারভিউ বা কাজের পোর্টফোলিও দেখতে চান। অনেক সময় ক্লায়েন্ট শুধু ই-মেইলের মাধ্যমেও যোগাযোগ করেন।

অর্থ উত্তোলন করবেন যেভাবে

বিভিন্ন প্লাটফরমের ভিন্ন ভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেম। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় পেমেন্ট সিস্টেম কী হবে, তা নির্ধারণ করে দিতে হয়।

মাস্টার কার্ড, পেপাল বা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। পেমেন্ট সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে চার্জ কেটে রাখা হয়।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এর সাথে আউটসোর্সিং করে কীভাবে সফল হবেন? বিষয়টিও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি থেকে কিছু উপকার পান, তাহলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন