কোরবানির পশুর বয়স | কোরবানির পশু কেমন হতে হবে

কোরবানির পশুর বয়স | কোরবানির পশু কেমন হতে হবে: প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম, স্বাগত জানাচ্ছি আজকের এই কোরবানির পশুর বয়স | কোরবানির পশু কেমন হতে হবে পোস্টে। আশা করি আপনারা এই পোস্টটি পড়ে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। 

আপনারা যদি আমাদের কোরবানির পশুর বয়স | কোরবানির পশু কেমন হতে হবে পোস্টটি পড়ে এতটুকুও উপকৃত হন তবেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

কোরবানির পশুর বয়স | কোরবানির পশু কেমন হতে হবে

সাধারণত গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা যায়। কুরবানীর প্রাণীর বয়স নিয়ে আমরা অনেকেই খুব চিন্তিত থাকি। আবার অনেকেই ঠিকঠাকমতো বয়স বিবেচনা করে কুরবানির পশু কিনতে পারি না। তাছাড়া আমরা অনেকে জানি না যে কুরবানীর প্রাণীর নির্দিষ্ট বয়স আসলে কেমন হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কুরবানীর পশুর বয়স কেমন হবে। 

ছোট পশু যেমনঃ ভেড়া, ভেড়ী, বকরি, খাসি, দুম্বার বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এছাড়াও গরু, মহিষের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই বছর বয়স হতে হবে। আর উটের ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়স হতে হবে। ভেড়া, গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ও উট। এই ছয় ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি করা যায়।এছাড়াও অন্য কোন পশু দ্বারা কোরবানি করা যায় না। 

হালাল বন্য পশু দ্বারা কোরবানি করা যাবে না। যদিও তা কেউ লালন-পালন করে থাকুক না কেন যেমনঃ হরিণ। কেউ যদি কোন হরিণের বাচ্চা ছোটবেলা থেকে গৃহপালিত পশুর মতো লালন পালন করতে থাকে। তবু তা দ্বারা কোরবানি হবে না। কারণ হল এরা গৃহপালিত পশু নয়। তবে দুম্বার বয়স এক বছর পূর্ণ না হলেও যদি এক বছরের মতো হৃষ্টপুষ্ট হয় তাহলে তা কুরবানির জন্য উপযুক্ত হবে। 

উল্লিখিত পশুগুলো যদি নর, মাদি যা-ই হোক না, তা দ্বারা কোরবানি হবে। কোরবানির পশু তরতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। কোন ধরনের খুঁত থাকলে সে পশু দ্বারা কোরবানি আদায় হবে না। যেমনঃ লেজের বা কানের বেশির ভাগ অংশ যদি কাটা থাকে, অন্ধ কিংবা এক চোখ কানা হওয়া ও এক পা খুঁড়িয়ে চলা কিংবা চলনশক্তিহীন হওয়া, অথবা উভয় শিং বা কোন এক শিং মূল থেকে ত্রুটি হওয়া। অর্থাৎ এমন কোন খুঁত কিংবা অপূর্ণতা থাকে, যার দ্বারা এটির উপযোগিতা কমে যায় ও মূল্য হ্রাস পায়। 

কোরবানির পশু যেকোন মুসলমান দ্বারা জবাই করতে পারেন। তবে নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবাই করা সবচেয়ে উত্তম হবে। দোয়া জানা তেমন জরুরি নয়। নিজে জবাই করতে না পারলেও যেকোন কাউকে দিয়ে জবাই করে নিতে পারেন। জবাইয়ের সময় নিজে উপস্থিত থাকতে পারলে খু্ব ভাল হয়। একটি কোরবানি হল একটি ভেড়া, ভেড়ী, ছাগল কিংবা দুম্বা। এছাড়াও গরু, মহিষ ও উট প্রতিটি ভেড়া, ছাগল ও দুম্বার সাতটির সমান হয়। 

আর তাই গরু, মহিষ ও উটে অনূর্ধ্ব সাতটি পর্যন্ত অংশ বা ভাগ দেওয়া যায়। তবে আকিকা হলে একটি বা দুটি ছাগল। সুতরাং বলা যায় গরু, মহিষ কিংবা উটে অংশ হয়ে যেভাবে কোরবানি দেওয়া যায়। সেভাবে একটিকে সাতটি ধরে অংশ হারে আকিকাও করা যায়। তবে কোরবানি ও আকিকা একসঙ্গে করতে তেমন কোন বাধা নেই। ওয়াজিব ও নফল কোরবানির গোশত খাওয়া যায় ও খাওয়ানো যায়। এটি সবাই খেতে পারেন।

তবে উত্তম হল তিন ভাগের এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া, তিন ভাগের এক ভাগ গরীব, পাড়া-প্রতিবেশীদের দেওয়া ও তিন ভাগের এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখা। আরও বেশি দিলে আরও ভাল। প্রয়োজনে সম্পূর্ণটা রেখে দিলেও ক্ষতি নেই। তবে অনেকে সাত ভাগের এক ভাগ দিয়ে থাকেন।

তো বন্ধুরা আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের মনোপুত হয়েছে। ‘কোরবানির পশুর বয়স | কোরবানির পশু কেমন হতে হবে’ এরকম আরো বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমাদের  সাথেই থাকবেন বলে আশা করি। আপনাদের সবার সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে শুভ বিদায়।
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন