বাড়ি কিনতে চান? এই তথ্যগুলো আপনার জানা উচিত

আজকে আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের জন্য নিয়ে এসেছি “বাড়ি কিনতে চান? এই তথ্যগুলো আপনার জানা উচিত”। আসা করি আপনাদের এই টপিক পছন্দ হবে। তো চলুন পড়া যাক:

বাড়ি কিনতে চান? জেনে নিন তথ্যগুলো

নিজের একটা সুন্দর বাড়ি হবে- এ স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু বাড়ি হবে বললেই তো আর হয়ে যায় না। এর জন্যে দরকার হয় প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস আর সেই সাথে খানিকটা বুদ্ধিরও। প্রয়োজনীয় জিনিস বলতে বোঝায় আর্থিক সঙ্গতি, মানসিক প্রস্তুতির মতন ব্যাপার তো রয়েছেই। 

সেই সাথে আছে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার পরবর্তী পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার ব্যবস্থাও। তবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে গেলে বুদ্ধির কি দরকার? বাস্তবে এরকম কোন কাজের জন্যে যে জিনিসটি সবচাইতে বেশি দরকার সেটি হচ্ছে এই বুদ্ধিই। 

একজন বুদ্ধিমান মানুষের পক্ষেই কেবল নিজের চারপাশ, আর্থিক সঙ্গতি, প্রস্তুতি- সবটা বুঝে শুনে তারপর বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়। 

আর তাই আপনি যদি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে চান তাহলে বুদ্ধিমান মানুষের মতন নিজেকে চটজলদি করে ফেলুন এই প্রশ্নগুলো আর জেনে নিন সত্যিই জীবনের এই বড় সিদ্ধান্তটির জন্যে আপনি আসলেই সবদিক দিয়ে প্রস্তুত আছেন কিনা।

প্রশ্ন-১: ফ্ল্যাট বা বাড়ির মাসিক খরচা দেওয়ার সামর্থ্য আপনার আছে কি?

একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে ফেলা মানে কিন্তু ঝামেলা একেবারেই চুকে যাওয়া নয়। যদি সেটা হয় কিস্তিতে কেনা তাহলে তো বাড়তি মাসিক একটা বোঝার ব্যাপার রয়েছেই। সেই সাথে বাড়ি বা ফ্ল্যাট তদারকি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে প্রতিমাসে আপনাকে খরচ করতে হবে বাঁধা একটা অঙ্ক। ভেবে দেখুন, জমানো টাকা দিয়ে একটা ঘর নাহয় হয়ে গেল, কিন্তু প্রতিমাসের আয় থেকে এই বাড়তি খরচ দেওয়ার ক্ষমতাটা আপনি রাখেন তো? যদি মাসের সব আয় আপনার জীবন-যাপনেই খরচ হয়ে যায় তাহলে আরো একবার ভাবুন আপনি এখনই বাড়িটি কিনবেন কিনা ( মানি আন্ডার থার্টি )।

প্রশ্ন-২: ঠিক কতদিন আপনি থাকছেন ফ্ল্যাটটিতে?

খুব পুরোনো নিয়ম অনুসারে আপনার সেখানেই খরচ করা উচিত যেখানটায় আপনি স্থায়ী হতে চাইছেন কিংবা কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের জন্যে থাকছেন। হয়তো আপনার মনে হতেই পারে যে কেনা দামে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করে ফেললে সমস্যা কোথায় হবে? 

বাস্তবে একটি বাড়ি কেনার সময় এর পেছনে আরো কিছু বাড়তি খরচ আপনার হয়েই যাবে যেগুলো পরবর্তীতে এক বছর- দুই বছরের মাথায় বিক্রি করে দিলে আর পুষিয়ে উঠতে পারবেননা আপনি। 

বিশেষজ্ঞদের মতে- কোন বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় কমপক্ষে সেখানে ৭ বছর থাকবার পরিকল্পনা থাকা উচিত ( ব্যাংকরেট )। তাই কোন কিছু কেনার আগেই চিন্তা করে নিন ঠিক কতদিন সেটা ব্যবহার করতে চলেছেন আপনি।

প্রশ্ন:৩- স্থানটি আপনার জন্যে সুবিধাজনক কি?

বাংলাদেশের কথাই ধরুন। রাজধানী ঢাকায় আপনি একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনছেন তার মানে কিন্তু এই নয় যে সেটা একদম শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে। হতে পারে সেটা সাভারের কোন এক আখ ক্ষেতের মাঝখানে।

ঠিক এমনভাবেই কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ি আপনার জীবনে সুবিধা যোগ না করে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। সেই অসুবিধা যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই বাড়ি বা ফ্ল্যাটের অবস্থান নির্ণয় করুন। কতটা সুবিধা হবে আপনার এই বাড়িটা কিনলে? আপনার ভাড়া বাড়ির দামকে কি এটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে? 

কয়েক বছর পরে বিক্রি করে দিলে কি বাড়িটা আপনার কেনা দামকে উঠিয়ে আনতে পারবে? এরকম নানারকম প্রশ্ন করুন নিজেকে আর জানতে চেষ্টা করুন বাড়িটি কেনার সুবিধা আর অসুবিধাগুলো কি ( টাইম )। এরপর সেগুলোকে তুলনামূলকভাবে যাচাই করুন আর সিদ্ধান্ত নিন সত্যিই আপনার জন্যে বর্তমানে বাড়িটা কেনা ঠিক হবে কিনা।


নিজের একটা স্থায়ী আবাস কে না চায়? কিন্তু বর্তমানে একটি বাড়ি মানে প্রচুর খরচার ধাক্কা। আর তাই বাড়ি কেনার আগে খানিকটা হিসেব করে নিন আর এড়িয়ে চলুন ভবিষ্যতের সমস্ত সমস্যা।


আশা করি আপনারা বাড়ি কিনতে চান, টপিকটি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট টি আপনার উপকারে আসে তা হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন