আজকে আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের জন্য নিয়ে এসেছি “ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের জন্য যা যা করণীয়”। আসা করি আপনাদের এই টপিক পছন্দ হবে। তো চলুন পড়া যাক:
ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের জন্য যা যা করণীয়
আমরা অনেকেই ভবন নির্মাণ নিয়ে মাথা ঘামাই কিন্তু হয়তোবা জানিনা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন অথবা কি কি কাগজপএ রাজউকে জমা দিতে হবে । কিংবা কি কি আমাদের করণীয় ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাবার ক্ষেএে । নিম্নে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী নকশা অনুমোদনের নিয়মাবলীর উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হল :
১) ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র (নিম্নবর্ণিত ছাড়পত্রের মধ্যে যেটি প্রযোজ্য এবং সার্ভিস চার্জ পরিশোধের রশিদ, ১ কপি প্রস্তাবিত নকশা জমা দিতে হবে ছাড় পএ গ্রহনের ক্ষেএে)
ক) নগর পরিকল্পনা শাখার ছাড়পত্র ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ক্ষেত্রে,
খ) এষ্টেট শাখার ছাড়পত্র রাজউক প্লট/ জমির ক্ষেত্রে,
গ) সংশ্লিষ্ট অফিসের ছাড়পত্র অন্যান্য সরকারী জমি/প্লটের ক্ষেত্রে,
ঘ) বিহদায়তন বা বিশেষ ধরণের প্রকল্পের জন্য বিশেষ প্রকল্প ছাড়পএ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ঙ) নির্মাণ অনুমোদন পএ
চ) বসবাস ও ব্যবহার ছাড়পএ ।
২) উন্নয়ন অনুমতি পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৩) রাজউক নির্ধারিত ব্যাংক হতে নির্মাণ অনুমোদনপত্র নকশা অনুমোদনের আবেদন ফরম নং-৪০১ (মূল্য টাকা ৩০০) সংগ্রহ করতে হবে ,
৪) দলিল, নামজারী, ভূমি উন্নয়ন কর, ডিসিআর, পর্চা ইত্যাদির কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি প্রস্তাবিত ভূমিতে আবেদনকারীর বৈধ মালিকানার স্বপক্ষে দাখিল করতে হবে।
৫)প্রস্তাবিত নকশায় Floor area ratio(FAR) এর হিসাব উল্লেখ করতে হবে।
৬) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নকশা অনুমোদন শাখা কর্তৃক নির্ধারিত ফি জমা প্রদান করে ব্যাংক রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
৭) ৮ কপি স্থাপত্য নক্সা (প্রণয়নকারী প্রকৌশলী/স্থপতি, মালিক/ডেভলপারের নাম, পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সদস্য/ নিবন্ধন নম্বর,ঠিকানা ও ফোন নম্বর) উল্লেখ করতে হবে।
৮) ৮ প্রস্থ করে সাইট প্লান, লে-আউট প্লান, ফ্লোর প্লান, পার্কিং প্লান, লম্বা লম্বি ও আড়া আড়ি ২টি সেকশন ও উন্নতি (Elevation)
৯) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সয়েল টেস্ট রিপোর্ট ।
আশা করি আপনারা ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের জন্য যা যা করণীয়, টপিকটি বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট টি আপনার উপকারে আসে তা হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।